মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় জেলায় এবছর ব্যারেল চিমনির ইটভাটা বন্ধ হয়েছে। কিন্তু ফিক্সড চিমনিগুলোতে কয়লার পরিবর্তে জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। আর এই কাঠ সংগ্রহ করতে উজাড় হচ্ছে বন জঙ্গল, কাটা হচ্ছে গাছপালা। ফলে পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এর ৬ ধারায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, অন্য যে কোন আইনে যাই বলা থাক না কেন কোনভাবেই ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো যাবে না। এই ধারা লঙ্ঘন করলে তিন বছরের জেল অথবা তিন লক্ষ টাকা জরিমানা এবং উভয়দন্ডও হতে পারে।
এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে ইটভাটা মালিকরা দেদারছে কাঠ পোড়াছে। যার পরিমাণ হিসেবের বাইরে। এভাবে চলতে থাকলে বন উজাড় হবে। পরিবেশ বিপন্ন হবে।
ব্যারেল চিমনির ইটভাটা গুলোকে যেমনভাবে কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করে বন্ধ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উচিৎ হবে একই ভাবে ইটভাটায় কাঠ যাতে না পোড়ানো হয় সেক্ষেত্রে কঠোরতা অবলম্বন করা। তা না হলে একই ঘটনায় দুই নীতি মানার মত অবস্থা তৈরি হবে।
এতে সাধারণ মানুষ প্রশাসনের প্রতি আস্থা হারাবে। জেলা প্রশাসন পরিবেশ বিপন্নের হাত থেকে এলাকাকে মুক্ত করবে এমনটাই প্রত্যাশা করি।