দেশে ইন্টারনেটের গতিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চে ছয় ধাপ এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে এক ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স-এর সূচকে বাংলাদেশ মোবাইল ইন্টারনেটে ১১২তম এবং ব্রডব্যান্ডের গতিতে ১০৮তম। মোবাইল ইন্টারনেটের গতি প্রতি সেকেন্ডে ২৪ দশমিক ৫৯ মেগাবাইট। বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ডের গতিতে ১০৮তম। ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১০৭তম। দেশে ব্রডব্যান্ডের গতি প্রতি সেকেন্ডে ৪৪ দশমিক ২৫ মেগাবাইট। এ সূচকেও ১৮২টি দেশের মধ্যে সবার শেষে রয়েছে কিউবা।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতে শীর্ষে সিঙ্গাপুর। দেশটিতে ব্রডব্যান্ডের গতি প্রতি সেকেন্ডে ২৮৪ দশমিক ১৩ মেগাবাইট। এরপরে যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং, চিলি ও যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের গতি কেমন, তা তুলে ধরে প্রতি মাসে স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওকলা। প্রতিষ্ঠানটির সবশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূচক অনুযায়ী, মার্চে মোবাইল ইন্টারনেটের সবচেয়ে বেশি গতি ছিল কাতারে, প্রতি সেকেন্ডে ৩১৩ দশমিক ৩০ মেগাবাইট। দ্বিতীয়তে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এরপর যথাক্রমে আইসল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়া। ১৪৮টি দেশের মধ্যে একেবারে শেষে অবস্থান কিউবার।
মোবাইল ইন্টারনেটের মানের সূচকে গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে অবনতি হয়েছে চলতি বছরের মার্চে। এ মাসে অবস্থান ঠেকেছে ১১২-তে। এর আগে গত বছরের অর্থাত্ ২০২৩ সালের অক্টোবরে ১১১তম অবস্থানে নেমে যায় বাংলাদেশ। এর পরের মাসেই অবস্থান উন্নতি হয়। ৬ ধাপ এগিয়ে নভেম্বর ১০৫তম স্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ।
ডিসেম্বরে অরো ৪ ধাপ এগিয়ে ১০১তম অবস্থানে উঠে এলেও চলতি বছরের প্রথম মাস অর্থাত্ জানুয়ারিতে ফের ১০৮তম অবস্থানে নেমে যায়। এরপর ফেব্রুয়ারিতে ১০৬তম অবস্থানে উঠে আবারও মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে পেছনের দিকে হাঁটছে বাংলাদেশ।
একই সময়ে ব্রডব্যান্ড সেগমেন্টে মেডিয়ান ডাউনলোডের গতি ছিল ৪৪ দশমিক ২৫ এমবিপিএস। আপলোড গতি ছিল ৪৩ দশমিক ৬১ এমবিপিএস। আর মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিল ৫ মিলি সেকেন্ড। মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে যেমন উত্থান-পতন হয়েছে, সেই তুলনায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির র্যাংকিংয়ে কিছুটা স্থিতিশীল বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ১০৮তম, নভেম্বর ১০৭তম, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ১০৮তম, ফেব্রুয়ারিতে ১০৭তম অবস্থান ছিল বাংলাদেশের।
সূত্র: ইত্তেফাক