ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আবাসিক হল এলাকায় মধ্যরাতে সিরিজ ‘ককটেল’ বিস্ফোরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। বিক্ষোভে আবাসিক হলের পাশে অনন্ত ছয়টি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ বলে দাবি করেছেন নেতা-কর্মীরা।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন এলাকা থেকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়ে প্রশাসন ভবনে ও মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব প্রদক্ষিণ করে ছাত্রলীগ টেণ্ডে শেষ হয়েছে। বিক্ষোভের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শেখ আব্দুস সালাম সিরিজ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, হঠাৎ বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও লালন শাহ হলের দক্ষিণ ব্লকের পাশে থেমে থেমে ৬টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটার অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা৷ এ ঘটনার পর থেকেই আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে যায়। আবাসিক শিক্ষার্থীরা বহিরাগত কেউ হল এলাকায় এমন ককটেল বিস্ফোরণ করলো ভেবে অভ্যন্তরে ও বাহিরে লাঠি, রড, স্ট্যাম্প ও হকস্টিক টহল দিতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ কক্ষে পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনার সাথে সাথে মোবাইল ফোনের কল দিয়েও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও প্রশাসন বডির ডাকলেও না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশে এ বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ‘ গতকাল আমাদের রুমের পাশে পর পর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পরিকল্পিত ঘটনা। অন্যদিকে আবার আমাদের সভাপতির ব্লকের পাশেও একই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে ।আমরা রাতে প্রক্টোরিয়াল বডিকে ডেকেছি কিন্তু তাদের কোন উপস্থিতি পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বিক্ষোভ করেছি।”
তিনি আরো বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পরিকল্পিত এ ঘটনা ঘটাচ্ছে। এতে কারা জড়িত সেটা তদন্ত করা ছাত্রলীগের কাজ নয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ। উপাচার্য স্যার একটি তদন্ত কমিটি ঘটন করবেন বলে আশা দিয়েছেন ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের।