ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাজে’স অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আইন বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিচারক (জেলা জজ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, ঝিনাইদহ’র মিজানুর রহমানকে সভাপতি ও নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) (জেলা জজ), এসকে,এম, তোফায়েল হাসান রুপককে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
শুক্রবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৬তম বাংলাদেশ জুড়িসিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় জাজে’স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে একটি ভার্চুয়াল মিটিংয় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনটির কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষ্যে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হবে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জেলা জজ সিরাজুদ্দৌলাহ কুতুবী, হাফিজুর রহমান, আঃ ছালাম খান ও মো: মিজানুর রহমান সহ প্রায় ৪০ জন বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞ বিচারকগন।
যেখানে বাংলাদেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছাত্রীরা বিচার বিভাগ সর্বোচ্চ আসন সহ আইনের সর্ব অঙ্গনে অনন্য উচ্চতায় আসীন হয়েছেন বা হচ্ছেন সেক্ষেত্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা অত্যন্ত হতাশাব্যন্জক।
এ বিষয়টিকে অনুধাবন করেই নবগঠিত কমিটির সদস্যরা এ সংগঠনটির কার্যক্রম আরও গতিশীল করার পাশাপাশি তাদের নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মানের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের আশ্বাস দেন।
এছাড়াও বিচারকদের এই ভার্চুয়াল প্লাটফর্মটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনুপ্রেরনার বাতিঘর বলেও অনেকে মন্তব্য করেন। এক্ষেত্রে বিভাগগুলোকে সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে বলে অনেকে মতামত ব্যাক্ত করেন।
উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় জাজে’স এ্যসোসিয়শনের সদস্য হিসেবে বর্তমানে ৯৪ জন বিচারক রয়েছেন। এর মধ্যে ১৯ জন বিজ্ঞ বিচারক অধস্থন আদালতের সর্বোচ্চ পদ জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে দেশের বিভিন্ন আদালতে কর্মরত রয়েছেন। বেশ কয়েকজন জেলা জজ হিসেবে পদায়নের অপেক্ষায় রয়েছেন।
প্রায় ৪ বছর আগের এই ভার্চুয়াল প্লাটফর্মটির প্রতিষ্ঠা করেন বর্তমান সাতক্ষীরার যুগ্ম জেলা জজ শহীদুল ইসলাম। এরপর সংগঠনটি প্রায় দুই বছর ধরে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে। জেলা ও দায়রা জজ জনাব মোঃ মঞ্জুরুল ইমাম সংগঠনটির সূচনা থেকে আহ্বায়ক হিসেবে এতদিন দ্বায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সংগঠনটি ইতোমধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে ও কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আইন অনুষদের ৩টি বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সারা বাংলাদেশ থেকে আগত সকল বিজ্ঞ বিচারকদের সমন্বয়ে দিনব্যপী একটি পুনর্মিলনী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।
এছাড়াও সংগঠনের সদস্যরা বিভিন্ন দুস্থ, অসুস্থ ছাত্রকে সাহায্য সহ আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে সংগঠনটির সদস্যরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মানবসেবাসহ আইন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান ছাত্র ছাত্রীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিসহ বহুমুখী কল্যানে আরও বৃহৎ পরিসরে কাজ করার ইচ্ছা ব্যাক্ত করেছেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের মাননীয় বিচারপতি জনাব ড.কে.এম হাফিজুল আলম নব নিযুক্ত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সূত্র: যায় যায় দিন