মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাথানপাড়া গ্রামে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় মেয়ের মামাতো ভাই ও মেয়ের আপন চাচাকে দা ও ইট দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে। আহত মেয়ের চাচা ঐ গ্রামের ফজলু বিশ্বাসের ছেলে কৃষক শরিফুল ইসলাম ও মামাতো ভাই মুন্নাফের ছেলে রাজন। আহত রাজন হেমায়েতপুর বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী।
আহত সুত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে নবম শ্রেনী পড়ুয়া ছাত্রীকে স্কুল যাওয়ার পথে উত্যক্ত করে আসে একই গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে লেগুনা চালক জাকিরুল ইসলাম। উত্যক্ত না করতে এর আগেও মেয়ে পরিবার একাধিকবার নিষেধ করা সত্বেও সে নিষেধ অমান্য করে উত্যক্ত করা অব্যাহত রাখে। উত্যক্তের শিকার মেয়েটি রাইপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী।
ঘটনার দিন বিকেলে উত্যক্তকারির অভিভাবকদের বিষয়টি জানাতে গেলে, মেয়ের বাবা সেলিমকে মারধর শুরু করে। মারধরের একপর্যায়ে জাকিরুলের চাচা মৃত আজিজারের ছেলে সানোয়ার হোসেন ও আনোয়ার হোসেন দলবল নিয়ে শরিফের মাথায় ও হাতে কোপ মারে বলে জানায় আহতদের লোকজন।
এ সময় রাজন প্রতিবাদ করতে গেলে তাকেও ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে শরিফের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে কুষ্টিয়া সরকারি মেডিক্যাল কলেজে রেফার্ড করা হয় রাজনকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি মামলা হবে।