মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ইহুদিবাদী ইসরাইলের পরমাণু কার্যক্রম আসল হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত তাখতে রাভানচি।
পরমাণু ও গণবিধ্বংসী অস্ত্রমুক্ত মধ্যপ্রাচ্য গড়া নিয়ে আয়োজিত জাতিসংঘের এক অধিবেশনে ইরানের দূত ইসরাইলের পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে এ বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। খবর তাসনিম নিউজ এজেন্সির।
রাভানচি বলেন, সর্বোপরি, পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে (এনপিটি) অবশ্যই ইসরাইলকে যোগ দিতে হবে। এ চুক্তিতে যোগ দেওয়ার জন্য কোনো ধরনের পূর্বশর্ত দেওয়া চলবে না। এ ছাড়া ইসরাইলের পরমাণু কর্মসূচি আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র পর্যবেক্ষণের আওতায় আনতে হবে।
ইসরাইলকে অব্যাহতভাবে সমর্থন জানিয়ে যাওয়ায় সভায় যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা করেছে ইরান।
ইরানের দূত বলেন, সম্মেলনে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের প্রত্যাখ্যান এর সাফল্যের পথে বড় বাধা। গণবিধ্বংসী অস্ত্রমুক্ত মধ্যপ্রাচ্য গড়ার ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের চুক্তি হলে যদি এ অঞ্চলের এসব অস্ত্রের অধিকারী কোনো দেশ এটি না মানে তবে তা হবে অর্থহীন ও অকার্যকর। তাই এসব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রতিবেদনের দিকে ইঙ্গিত করে ইরানি রাষ্ট্রদূত দুঃখ প্রকাশ করেছে বলেন, কিছু প্রতিনিধি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কে ‘অযৌক্তিক উদ্বেগ’ উত্থাপন করেছেন।
সভায় রাভানচি ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ সৈয়দ আলী খামেনির ফতোয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, গণবিধ্বংসী অস্ত্রের উৎপাদন, মজুদ ও এর ব্যবহারের বিষয়ে আমাদের শীর্ষ নেতার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।