সংগঠনটির নাম ‘ইয়ুথ নেটওয়ার্ক’। বয়স প্রায় সাড়ে সাত বছর। ২০১৬ এর আগে অব্দি তারা কাজ করতো সামাজিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে। ২০১৬ থেকেই তারা সামাজিক কাজটাকে ধরে রাখার পাশাপাশি তাদের সাংগঠনিক মূল লক্ষ্যকে দাঁড় করায় ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট’কে। এ পর্যন্ত কখনই তারা তাদের কোনো ধরণের কার্যক্রমকে ফেসবুকে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আনেনি।
কোয়ারেন্টাইনের মধ্যে মানুষ যেন বিনামূল্যেই ভালো কিছু শিখতে পারে ঘরে বসেই, সেজন্য ‘ইয়ুথ নেটওয়ার্ক’ এবার অনলাইন লার্নিং ভিত্তিক একটি প্রোজেক্ট গ্রহণ করেছেন, যেটির নাম ‘ইয়ুথ নেটওয়ার্ক সেন্টার’। একটি গ্রুপের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন দক্ষ মানুষকে ‘লাইভ শো’তে এনে অনলাইন পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয় ২৫ এপ্রিল থেকে, যদিও গ্রুপটির সৃষ্টি ১৮ এপ্রিল। এক মাসেরও কম সময়ে তারা ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের কাছে ভালো একটি জায়গা করে নিতে পেরেছে। এই লাইভ শো’গুলো উপস্থাপনা করে চলেছেন ‘ইয়ুথ নেটওয়ার্ক’এর প্রতিষ্ঠাতা এবং উপস্থাপক ঈশা খান (অপূর্ব)।
১৯ মে তাদের এই লাইভ শো এর অষ্টম পর্ব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবং এই পর্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইম ডিভিশনের সম্মানিত সিনিয়র এ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার জনাব সাইদ নাসিরুল্লাহ্। ১৯ মে ঠিক রাত ৯ টায় ‘ইয়ুথ নেটওয়ার্ক’এর অফিসিয়াল ফেসবুক ফ্যান পেইজ থেকে এই লাইভটি সম্প্রচার করা হবে। এই শো-এর আলোচনার বিষয় বস্তু নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সাইবার ক্রাইম’।
‘ইয়ুথ নেটওয়ার্ক’ এর প্রতিষ্ঠাতা ঈশা খান (অপূর্ব)’ এর কাছে এই লাইভ শো-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য জানতে চাওয়া হলে, উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা মূলত খুবই সুনির্দিষ্ট বিষয়ের উপর দক্ষ মানুষকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর চেষ্টা করছি। আমরা জানি, আমাদের অডিয়েন্স বেশিরভাগই মফস্বল শহরাঞ্চলগুলো থেকে বা যাদের সাথে ঢাকার সম্পর্ক তুলনামূলক কম। ঢাকা কেন্দ্রীক মানুষ কিছুটা হলেও এই ধরণের জ্ঞান পাওয়ার সুযোগ পায়। কিন্তু মফস্বলের ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক কিছু থেকেই এখনও অনেকটাই বঞ্চিত। দ্বিতীয়ত, যতটুকু তারা পায়, সেটাও এমনভাবে পায় যে সেগুলো বুঝতে গেলেও কাউকে আগে থেকেও কিছুটা স্টাডি করে রাখতে হয়। সেই কারণে আমরা চেষ্টা করি আমাদের আলোচনাকে খুবই সহজবোধ্য করার যেন সকলেই নির্দ্বিধায় এটি বুঝতে পারে”।
একই সাথে আমরা ঈশা খান (অপূর্ব)-এর কাছে প্রশ্ন রেখেছিলাম এই পর্বে সিনিয়র এ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার মহোদয়কে অতিথি হিসেবে রাখা এবং এই পর্বের বিষয়ে। এ সম্পর্কে উত্তরে তিনি বলেন, “কোয়ারেন্টাইনে মানুষ সবাই ঘরে বসে। সুতরাং, তারা সবচেয়ে বেশি সময় কাটাচ্ছে অনলাইন দুনিয়াতেই। সোস্যাল মিডিয়া সহ অন্যান্য অনলাইন সাইটগুলো অতি মাত্রায় ব্যবহার করলেও, আমরা এর থেকে কী ধরণের অপরাধ সংঘটিত হতে পারে, এ সংক্রান্ত জ্ঞান সবার মাঝে নেই।
সেই কারণেই আমরা চেষ্টা করেছি এই ‘সাইবার ক্রাইম’ বিষয়েই একটি পর্বের আয়োজন করতে। সাইদ নাসিরুল্লাহ অভি ভাইয়াকে অসংখ্য ধন্যবাদ তিনি আমাদের সাথে এত সুন্দর ভাবে কো-অপারেট করেছেন। আমরা ছোট মানুষ। তবুও তিনি খুব আন্তরিকভাবেই আমাদেরকে গ্রহণ করেছেন এবং এই উদ্যোগী আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। একই সাথে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি ‘দা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’-এর ক্রাইম ডিপার্টমেন্টের করেস্পন্ডেন্ট এবং বড় ভাই জিয়া চৌধুরি ভাইয়াকে। এই পর্বের জন্য উনার আন্তরিকতাও ছিল চরমে। এই মানুষগুলোকে সাথে না পেলে কোনোভাবেই এই আয়োজন এত সুন্দরভাবে করা সম্ভব ছিল না”।
‘ইয়ুথ নেটওয়ার্ক’এর পক্ষ থেকে সকলকে এই লাইভ আয়োজনটি দেখার জন্য আমন্ত্রন জানিয়েছেন ১৯ মে বাংলাদেশ সময় ঠিক রাত ৯টায়।