মুজিবনগরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে সুজন সরকারের যোগদান করার পর প্রথম দিন অফিসে বসে মুজিবনগরের উন্নয়ন সম্পর্কে তার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মেহেরপুর প্রতিদিনের এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের তীর্থভূমি হচ্ছে মুজিবনগর।আর এই রকম একটি জায়গায় যে কোন সরকারি কর্মচারীর কাজ করতে পারাটা একটি সৌভাগ্যের ব্যাপার।মুজিবনগরের মত জায়গায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে পদায়িত হওয়ায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।আমি মনে করতে পারছি আমি এখানে আসতে পেরে নিজেও একটা ইতিহাসের অংশ হতে পেরেছি।
মুজিবনগর একটি সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এই এলাকাটি এখনো অবহেলিত, এই এলাকার উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি এখানে যোগদান করার পর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি। তিনি উন্নয়নের বিষয়ে খুবই আন্তরিক। এবং তিনি সারা বাংলাদেশের ভিতরে মুজিবনগরকে একটি রোল মডেল হিসাবে গড়ে তুলবেন।
আর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনায় এবং জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে আমরা উপজেলা প্রশাসরের পক্ষ থেকে সরকারের যে উন্নয়ন ভাবনা আছে তার অংশীদার হিসাবে মুজিবনগরকে একটি রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
করোনা ভাইরাস বাংলাদেশসহ মেহেরপুরেও মহামারি আকার ধারন করেছে। ইতোমধ্যে গত ১০ দিনে মেহেরপুর জেলাতে করোনা আক্রান্তের সংখা প্রায় শতক ছাড়িয়েছে। মুজিবনগরেও আক্রান্তের সংখা কম না। সেক্ষেত্রে করোনা প্রতিরোধে নতুন করে কোন ভূমিকা রাখবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনার অবশ্যই অবগত আছেন যে করোনা প্রতিরোধে মুজিবনগরে বিভিন্ন কার্যক্রমে ইতোমধ্যে অনুকরনীয় একটি উপজেলা।বক্স সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট হাট ব্যবস্থাপনা, সামাজিক দূরুত্ব নিশ্চিতকরণে আমার পূর্বের উপজেলা নির্বাহী অফিসার যে উদ্যেগ নিয়েছিলেন তা সারা বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হচ্ছে।আর যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে তারা যেন নিজেকে অসহায় মনে না করে সেক্ষেত্রে সর্বক্ষাণিক আমরা তাদের পাশে থাকবো।
দুর্নীতির বিষয়ে তিনি কেমন ভূমিকা রাখবেন সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,সমগ্র বাংলাদেশেই এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স সরকার গ্রহন করেছে।তারই অংশীদার হিসাবে মুজিবনগরে যে কাজটি হয়েছে সেটার ধারাবাহিকতা আমি রক্ষা করতে পারবো এই বিশ্বাস আমি রাখি।আমার কাছে যে কোন সময় যেকোন মানুষ আসতে পারবে সেই সুযোগটুকু থাকবে।আর মানুষের সকল কথা শোনার সেই ধোর্য আমি আশা করি রাখতে পারবো, তাদের পাশে থাকতে পারবো।
আপনি কেমন মুজিবনগর উপহার দিতে চান সর্বশেষ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা যেটা বললেন যে মুজিবনগর সীমান্তবর্তী একটি উপজেলা হওয়ায় কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি সেহেতু উন্নয়ন প্রকল্প এগিয়ে নেওয়ার জন্য মুজিবনগর উপজেলার সকল দপ্তরিক যে কাজকর্মগুলো থাকে সেগুলো আমার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করবো।
আমি প্রত্যাশা রাখি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের পরামর্শক্রমে এখানে জনবান্ধবমুখী প্রশাসনের মাধ্যমে সামগ্রীকভাবে সেবা প্রদান অব্যাহত রাখতে পারবো।ঠিক যেমনটা রেখেছিলেন আমাদের পূর্বের ইউএনও মহোদয়।
উল্যেখ্য,সুজন সরকার ১২ আগষ্ট বিকালে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে যোগদান করেছেন।
যোগদানের পর প্রথম দিন অফিসে বসেই তিনি বৃহস্পতিবার সকালে মুজিবনগর সৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।