জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী পিয়াসী বাঁশফোর (২৭)। পায়ের নিচের অংশ চিকন ও বাঁকা। হামাগুঁড়ি দিয়ে হাটতে হয় তাকে। ঠিকমতো কথাও বলতে পারে না সে।
দেখে প্রথমে মনে হয় ৮-১০ বছরের শিশু। কিন্তু তার মায়ের কাছ থেকে বয়সের কথা শুনতেই জানা গেলো তার বয়স এখন ২৭ বছর।
কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তা মোড় সংলগ্ন এলাকার সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস গলিতেই এই প্রতিবন্ধী পিয়াসী বাঁশফোর এর বসবাস। অর্ধশতাধীক হরিজন বাসিন্দাদের সাথে বসবাস থাকলেও পিয়াসী বাঁশফোরের বাবা আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র সংসার করছে। তার মা বেগম বাঁশফোর অনেকটা কষ্ট করেই বলে ফেললেন- “কেউ আমাদের দেখে না। এখন আমার মেয়ের একটা হুইলচেয়ার হলেই কেবল তাকে নিয়ে একটু বাড়ির পাশে ঘোরাতে পারতাম।”
এখন এই প্রতিবন্ধী ময়েকে নিয়েই তার মা বেগম বাঁশফোরের সংসার। কোন রকমে মেয়েটাকে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি।
একটি ভাঙ্গা হুইলচেয়ারে অবহেলিতভাবে রয়েছে পিয়াসী বাঁশফোর। চাকা ঘোরে না কোনরকমে বসে থাকে এ ভাঙ্গা হুইলচেয়ারে। দেখলাম অনেক শিশুদের ভীড়ে আনন্দ চিত্তে আকাশের দিকে অবলীলায় চেয়ে আছেন পিয়াসী বাঁশফোর। একটি হুইলচেয়ার তাকে আরেকটু আনন্দ বয়ে আনতে সহায়ক হতে পারে। যদি কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি তাকে একটি হুইলচেয়ার দিতেন তাহলে বেশ উপকৃত হতো।
ছবি তুলতে চাইতেই হাস্যোজ্জল মুখে পিয়াসী বাঁশফোর ছবি ওঠেন। কিন্তু ইশারায় একটি হুইলচেয়ার চেয় আকুতি জানায় সে।
এ সময় বেগম পিয়াসী বাঁশফোরের মা বেগম বাঁশফোরও মেয়ের জন্য একটি হুইল চেয়ারের আবদার করেছেন।