ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেছেন, ৫৩ বছর এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। আজকে শ্রমিকরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নামে গুলিবিদ্ধ হয়। যারা ক্ষমতায় থাকবে তারা চাকরি পাবে, আর যারা ক্ষমতায় থাকবে না তারা চাকরি পাবে না। যারা ক্ষমতায় থাকবে তারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হবে আর যারা ক্ষমতায় থাকবে না তারা না খেয়ে থাকবে, চিকিৎসা করাতে পারবে না। তা হবে না। কেউ খাবে কেউ খাবে না, তা হবে না। আমরা সকল বৈষম্য দুর করতে চাই। স্বাধীনতার পরে সকল দল সরকারে ছিল কিন্তু বৈষম্য দুর হয়নি। এদেশে যারা সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক তাদের থেকে বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন-ভাতার অনেক বৈষম্য। ব্যাংকগুলি ধনিকে ধনি করছে আর গরিবকে আরও গরিব করছে। গরিব মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য অর্থনৈতিক সিস্টেম পাল্টাতে হবে। শুধু নেতা পাল্টালে হবে না নীতিও পাল্টাতে হবে। ইসলামী অর্থনীতি চালু হলে এই দেশে কেউ গরিব থাকবে না।
তিনি বলেন, দেশের সকল সম্পত্তি কয়েকটি পরিবারের হাতে বন্দি। মাত্র ৫টি পরিবার কয়েক লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। একদল চোর তাড়িয়ে আরেকদল চোরকে ক্ষমতায় আনলে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। দেশে পিআর নির্বাচন পদ্ধতি চালু করতে হবে। তাহলে সকল দল সংসদে যাওয়ার সময় পাবে। সংসদে কথা বলার সুযোগ পাবে তাহলে এমনিতেই ৮০ শতাংশ দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে। সকল দুর্নীতি ও বৈষম্য দুর করতে প্রয়োজন ইসলামী শাসন ব্যবস্থা। আপনারা ইসলামী আন্দোলনের হাতকে শক্তিশালী করুন। ৫শ টাকায় ভোট বিক্রি না করে দেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা নিয়ে আসুন তাহলে গরিবের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে, দেশ উন্নত হবে। তিনি ইসলামী আন্দোলনে সকল সচেতন নাগরিককে দাওয়াত দেন।
আজ বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্ত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে গণহত্যা চালানো, বিদেশে টাকা পাচারসহ চরমোনাই পীর ঘোষিত ৭ দফা দাবিতে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র জেলা শাখার সভাপতি ডা: এইচ. এম. মোমতাজুল করীম এবং সভা পরিচালনা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র জেলা সাধারণ সম্পাদক মাও: সিহাব উদ্দীন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ’র খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আব্দুল জলিল। সমাবেশে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।