১৬ বছরের এক কিশোর হেঁটে চলেছে। পথে আসে নানা বাধা। কেন তার এই যাত্রা এবং শেষ পর্যন্ত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে কি না-এসবের উত্তর পাওয়া যাবে আজ ‘আজব ছেলে’ সিনেমায়। মুহম্মদ জাফর ইকবালের ছোটগল্প ‘আজব ছেলে’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।
সরকারি অনুদানে মুক্তিযুদ্ধের গল্পের এ সিনেমা বানিয়েছেন মানিক মানবিক। শিশুতোষ এ সিনেমার নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন রিদওয়ান সিদ্দিকী। অন্যান্য চরিত্রে আছেন তৌকীর আহমেদ, সাজু খাদেম, তাহমিনা অথৈ প্রমুখ।
নির্মাতা মানিক মানবিক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের এত সুন্দর একটা গল্প। যেখানে কোনো মারামারি নেই, গোলাগুলি নেই, মুক্তিযোদ্ধা, রাজাকারদের লড়াই নেই। কিন্তু তারপরেও এটি মুক্তিযুদ্ধের গল্প। এটাই আমাকে বেশি আকৃষ্ট করেছে। দর্শকেরও ভালো লাগবে।’
পরিচালনার পাশাপাশি আজব ছেলের চিত্রনাট্যও লিখেছেন মানিক মানবিক। সংগীত পরিচালনায় সানী জোবায়ের। ২০১৮ সালে ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেয়েছিল সিনেমাটি। পাঁচ বছর পর অবশেষে ছবিটি এলো মুক্তির আলোয়। তাও আবার কেবল একটি প্রেক্ষাগৃহে। শুধুমাত্র একটি হলে আজ মুক্তি পেয়েছে ‘আজব ছেলে’।
হল কম প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, এই ধরনের ছবি সাধারণত হল পায় না। কেননা হল মালিকরা ধরে নেন, এসব ছবি দর্শক দেখে না। ফলে স্বল্প পরিসরে মুক্তি পেলেও বিভিন্ন উৎসবে ছবিটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। যেমন আসন্ন ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে নিয়েছে ‘আজব ছেলে’।
সম্প্রতি রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ‘আজব ছেলে’ ছবিটির প্রিমিয়ার হয়েছে। সেখানে উপস্থিত হয়ে ছবিটি দেখেছেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি বলেছেন, ‘একজন লেখক কিছু লেখেন, সেটা একরকম। সেটাকে যখন চলচ্চিত্রে রূপ দেওয়া হয়, তখন কিন্তু একদম ভিন্ন। আমার গল্পটা লেখার উদ্দেশ্য ছিল যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, তারা যেন অনুভব করতে পারে ওই সময়ে কত কী ঘটেছে; তার মধ্যে একটা নির্দিষ্ট কষ্টের কথা বোঝানোর চেষ্টা করেছি। ছবিটা দেখার পর আমার মনে হয়েছে, সেই বিষয়টি নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।’
সূত্র: ইত্তেফাক