ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ। অথচ মাঠের পারফরম্যান্সে মনেই হচ্ছেনা নিগার সুলতানার নেতৃত্বাধীন দলটি নিজেদের চেনা কন্ডিশনে খেলছে।
আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে মিশন শুরু হয় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে ৭০/৮ রানে ইনিংস গুটানো বাংলাদেশ হেরে যায় ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ৫ উইকেটে ১২৯ রান করে ৮৮ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ।
তিন ম্যাচে দুই জয়ের পর নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ১৬০ রান তাড়ায় বাংলাদেশ হেরে যায় ৫৯ রানে।
সোমবার পঞ্চম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ডিএল মেথডে ৪২ বলে মাত্র ৪১ রান তাড়ায় বাংলাদেশ হারে ৩ রানের ব্যবধানে।
এই পরাজয়ে সেমিফাইনালে খেলার পথ কঠিন হয়ে যায় বাংলাদেশের। নিগার সুলতানাদের তাকিয়ে থাকতে হয় ভারত-থাইল্যান্ড ম্যাচের দিকে।
তবে সুখবর হলো সোমবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে একক আধিপত্য বিস্তার করেই জয় লাভ করে ভারত। ভারতের এই জয়ে সুবিধাই হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ দলের জন্য।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচে আমিরাতের বিপক্ষে জয় পেলে থাইল্যান্ডের মতো ৬ ম্যাচে বাংলাদেশেরও পয়েন্ট সমান ৬ হবে। তখন রান রেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে বাংলাদেশ চলে যাবে সেমিফাইনালে। সেমিফাইনালে খেলা আগেই নিশ্চিত করেছে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা।
তবে কোনো কারণে মঙ্গলবার বাংলাদেশ যদি নিজেদের শেষ ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে হেরে যায় তাহলে টুর্নামেন্টের স্বাগতিক হয়েও সেমিফাইনালের আগেই দর্শক হয়ে যাবে।