কোভিড-১৯ ভাইরাসের উপসর্গের চিকিৎসায় কিছুটা কার্যকরী দাওয়াই হিসেবে প্রমাণিত রেমডিসিভিরের পরবর্তী তিন মাসের স্টক কিনে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন।
দেশটির জনপ্রিয় গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কারণে মহামারীর এই সময়ে ইউরোপসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ওষুধটি আর কিনতে পারবে না।
বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকারকর্মীরা করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন কর্মকাণ্ডকে ‘একতরফা’ ও ‘স্বার্থপর’ মন্তব্য করে পৃথিবীর অন্য দেশগুলোকে সতর্ক করেছেন। এত রেমডিসিভির দিয়ে ট্রাম্প কী করবেন সেটি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
ইংল্যান্ডের লিভারপুল ইউনিভার্সিটির গবেষক অ্যান্ড্রু হিল বলেছেন, ‘রেমডিসিভিরের অধিকাংশ সরবরাহ ট্রাম্প কিনে নিয়েছেন। ইউরোপের জন্য তো কিছুই রাখেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসেবা সচিব অ্যালেক্স আজার জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রেমডিসিভির পেতে দারুণ একটি চুক্তি করেছেন। আমেরিকার সব রোগী যেন এটি ব্যবহার করতে পারেন, সেটি তিনি নিশ্চিত করতে চাইছেন।
এই জেনেরিকের ওষুধটি মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি গিলিয়াডের নামে পেটেন্ট করা। অর্থাৎ ওষুধটির ওপর এই কোম্পানিটিরই একচেটিয়া অধিকার। অন্য কোনো দেশ তাদের অনুমতি ছাড়া তৈরি করতে পারবে না।
রেমডিসিভির মূলত ইবোলার জন্য তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কাজ করেনি। এখন কোভিড ১৯-এর চিকিৎসায় রোগীদের দ্রুত সুস্থ হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি কোম্পানি ওষুধটি তৈরির অনুমতি পেয়েছে।
কয়েক মাস ধরে ভারত-ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে ওষুধটি করোনার চিকিৎসায় ব্যবহার হচ্ছে। সূত্র-যুগান্তর