চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় রিয়ালকে ১-০ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। ম্যাচের অন্তিম সময়ে এমবাপ্পে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন।
আলোচিত এ ম্যাচে মেসির পেনাল্টি মিস বাদে নজর কেড়েছেন এমবাপ্পে। দীর্ঘদিন পর যেন স্বরূপে ফিরলেন ফ্রেঞ্চ তারকা।
ম্যাচের ৬১ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দানি কারভাহাল ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে ভুল করেননি। সেটা নিতে দেওয়া হয় পিএসজির সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসিকে। আর্জেন্টাইন তারকার সেই পেনাল্টি ফিরিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। শুধু পেনাল্টিই না, এ ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছেন বেলজিয়ান এ তারকা। পিএসজির নেওয়া ছয়টি শটই পরাস্ত করেছেন তিনি।
শুরু থেকে পিএসজি বলের দখলে পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। টনি ক্রুস, লুকা মদ্রিচ আর ক্যাসেমিরোকে নিয়ে গড়া রিয়াল মাদ্রিদের মাঝমাঠকে অনেকটাই শাসাচ্ছিলেন মার্কো ভেরাত্তি ও লিয়ান্দ্রো পারেদেসরা। তার সুফলটা ভোগ করছিল এমবাপ্পে। বাঁ পাশে শুরু থেকেই গতি দিয়ে ত্রাস ছড়িয়েছেন মাদ্রিদ রক্ষণে।
পঞ্চম মিনিটে পিএসজি প্রথম বড় সুযোগ পায় তার কল্যাণেই। তবে তার নিচু ক্রসটায় দারুণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি আনহেল ডি মারিয়া, লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে গোল পাওয়া হয়নি তার।
এরপর বিরতির আগ পর্যন্ত পিএসজি এমন আক্রমণে উঠেছে বহুবার। তবে গোলমুখে গিয়েই বাধে যত বিপত্তি।
রিয়াল রক্ষণের কৃতিত্বও আছে বৈকি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের শেষ তিন অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল হজম না করা রক্ষণভাগ এদিনও ছিল নিজেদের ছন্দে। গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া তো ছিলেনই! ফলে বিরতির আগে আর গোলের দেখা পায়নি পিএসজি।
রিয়াল বিরতির আগ পর্যন্ত তেমন আক্রমণই করতে পারেনি। ফলে অপরপ্রান্তে গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডনারুমাকে কাটাতে হয়েছে অলস সময়ই। বিরতির পর পিএসজি আক্রমণের ধার বেড়েছে। ৪৫ থেকে ৫২ মিনিটে দুটো সেভ দিয়ে দলকে রক্ষা করেছেন কোর্তোয়া।
৬০ মিনিটে পেনাল্টি মিসের কিছু পরে কোচ মরিসিও পচেত্তিনো নেইমারকে মাঠে আনেন। তাতে পিএসজির আক্রমণে বাড়ে আরও। শেষ মুহূর্তে তার ঝলকেই পিএসজি পায় গোল। তার ব্যাকহিল বক্সের ভেতর খুঁজে পায় এমবাপ্পেকে, ফরাসি তারকা এরপর দুটো চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে এগিয়ে যান বাইলাইনের কাছে। সেখান থেকে নিচু এক শটেই পরাস্ত করেন রিয়াল গোলরক্ষককে। পুরো ম্যাচে ছড়ি ঘোরানো পিএসজি শেষ মুহূর্তের গোলে পায় দারুণ এক জয়।