রপ্তানিযোগ্য ফলের চাষ ছড়িয়ে দেওয়া ও ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকাননের আম গাছের পরিচর্যার বিষয়ে মেহেরপুরের মুজিবনগর অডিটরিয়ামে আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে দশটার সময় এই আঞ্চলিক কর্মশালা শুরু হয়। মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকার খামারবাড়ি হর্টিকালচার উইংয়ের পরিচালক কে.জে. এম. আব্দুল আউয়াল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা খামারবাড়ির বছর ব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ডঃ মোঃ মেহেদী মাসুদ, যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক দীপক কুমার রায়।
কর্মশালায় প্রকল্পের লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারাদি হর্টিকালচার উপপরিচালক কৃষিবিদ হাবিবুল ইসলাম খান।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, মুজিবনগর আম্রকাননে ১১৭০ কি আমগাছ রয়েছে। শতবর্ষে এই গাছগুলো তিনটি পরগাছা দ্বারা আক্রান্ত। যে পরগাছাগুলো গাছগুলোকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গাছগুলোকে কিভাবে পুনঃ যৌবন দান করা যায় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে গাছগুলো আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।
বক্তারা আরো বলেন, বিদেশি ও দেশি যে ফলগুলো রয়েছে সেগুলো কিভাবে রপ্তানি যোগ্য করা যায় সেই চেষ্টায় করছেন বিজ্ঞানীরা।
তারা আরো বলেন, মানুষের চলাচল, গরু-ছাগলের চলাচল নিয়ণ্ত্রণ করতে হবে। বেড়া দিয়ে বাগানের ভিতরে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করো যেতে পারে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের পরামর্ক (অব: অতিরিক্ত সচিব) রেজাউল করীম, পরামর্শ হিল হর্টিকালচার্স ও সাবেক প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ এসএম কামরুজ্জামান।
এছাড়াও বিভিন্ন জেলার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ও হর্টিকালচারের উপপরচালক, কৃষি কর্মকর্তা, ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মুজিবনগর আম্রকাননের আম গাছ রক্ষা ও পরিচর্যা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ইতমধ্যে জৈব সার ক্রয়ের দরপত্র আহবান ও বাগান পরিচর্যার যন্ত্রাংশ ক্রয় করা হয়েছে।