করোনার ওষুধ নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে ভারতের বিখ্যাত যোগগুরু ও পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের প্রধান বাবা রামদেবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
শনিবার ওই মামলাটি করা হয়েছে সেই সঙ্গে তাদের কোম্পানির উদ্ভাবিত করোনার ওষুধ ‘করোনিল’র সকল প্রচারণা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খবর এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে ও নিউজ এইটিনের।
শুক্রবার জয়পুরের জ্যোতিনগর পুলিশ স্টেশনে রামদেব সহ পতঞ্জলির এমডি আচার্য বালকৃষ্ণ, বিজ্ঞানী অনুরাগ ভার্শনে, এনআইএমএস চেয়ারম্যান বলবীর সিং তোমার এবং ডিরেক্টর অনুরাগ তোমারের বিরুদ্ধে ভূল প্রচার চালানোর অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়।
এ বিষয়ে জ্যোতিনগর পুলিশ স্টেশনের অফিসার সুধীর কুমার উপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘হ্যাঁ, বাবা রামদেব, আচার্য বালকৃষ্ণ, বিজ্ঞানী অনুরাগ ভার্শনে, বলবীর সিং তোমার, অনুরাগ তোমার-এর বিরুদ্ধে ঋওজ দায়ের করা হয়েছে।’
গত মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ধুমধাম করেই করোনা বধের ওষুধ বাজারে আনার কথা ঘোষণা করেছিলেন আলোচিত যোগগুরু রামদেব।
পতঞ্জলির তরফে জানানো হয়, ‘করোনিল ও শ্বাসরি’ নামের দুটি ওষুধ কোভিড রোগীদের উপর পরীক্ষা করেও দেখা হয়েছে। এই ওষুধ প্রয়োগে সুস্থতার হার ১০০ শতাংশ বলে জানায় কোম্পানি।
এমনকী রামদেব এও দাবি করেন, দীর্ঘ গবেষণার পরই আয়ুর্বেদকে কাজে লাগিয়ে ওষুধটি তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। এতে তিন থেকে সাতদিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন করোনা আক্রান্ত।
কিন্তু এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই ভারতের কেন্দ্র সরকারের নজরে পড়ে পতঞ্জলি। সূত্র-যুগান্তর