করোনাভাইরাসের বিস্তার সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে ঢাকায়। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নারায়ণগঞ্জ। আক্রান্তদের ৫২ শতাংশই ঢাকাবাসী। ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলায় রয়েছে ৩৫ শতাংশ আক্রান্ত। বাকিরা অন্যান্য বিভাগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন।
আজ শনিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, সর্বমোট করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৬ জন। গত চব্বিশ ঘণ্টায় যে ৫৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩১-৪০ বছর বয়সী আছেন ১৭ জন এবং ৪১-৫০ বছর বয়সী আছেন ১৫ জন। এদের মধ্যে ৪৮ জন পুরুষ এবং ১০ জন নারী। নতুন করে আক্রান্তদের ১৪ জনই ঢাকার। আক্রান্তের হারে এর পরই নারায়ণগঞ্জ। সেখানে নতুন করে আক্রান্ত ৮ জন। মোট আক্রান্ত ৪৮২ জনের মধ্যে ৩১-৪০ বছর বয়সীরা সবচেয়ে বেশি, ২০ শতাংশ। এর পরে ২১-৩০ বছর বয়সীরা, ১৯ শতাংশ। আবার ৪১-৫০ বছর বয়সীরাও আছেন ১৯ ভাগ। আক্রান্তদের শতকরা ৭০ ভাগ পুরুষ, আর বাকি ৩০ ভাগ নারী। এই ৪৮২ জনের ৫২ শতাংশই ঢাকা শহরের। ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলায় রয়েছে ৩৫ শতাংশ আক্রান্ত। বাকিরা অন্যান্য বিভাগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন।
তিনি আরো জানান, গত চব্বিশ ঘণ্টায় যে তিনজন মারা গেছেন তাদের একজন ঢাকার। বাকি দুজন অন্য জেলার। তাদের বয়স ৩৮, ৫৪ এবং ৭৪ বছর। যে তিনজন সুস্থ হয়েছেন তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং একজন নারী।
ব্রিফিংয়ের প্রথমে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনা রোগীদের সেবা দিতে নতুন করে হাসপাতাল প্রস্তুত করা হচ্ছে। বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারকে দুই হাজার বেডের হাসপাতালে রূপান্তর করা হচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ১৩ শ বেডের একটি হাসপাতাল এবং উত্তরার ডিয়াবাড়ীর চারটি বহুতল ভবনকে ১২ শ বেডের হাসপাতালে রূপদান করা হচ্ছে। এগুলো প্রস্তুত হয়ে গেলে সাড়ে চার হাজার বেডের ব্যবস্থা হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আরো বেশ কয়েকটি হাসপাতালকে করোনার জন্য প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালও করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এগিয়ে আসছে।
সূত্র-কালের কণ্ঠ