গোটা বিশ্ব এখন কাঁপছে করোনাভাইরাসের প্রকোপে। চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস মহামারী রূপ নিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে ইউরোপের দেশ ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সকে। আমেরিকায়ও চালাচ্ছে ধ্বংসযজ্ঞ। শিগগিরই মৃতের সংখ্যার শীর্ষে উঠবে আমেরিকা।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের চিকিৎসায় এখনও কার্যকর ওষুধ বা ভ্যাকসিন মেলেনি। তবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, বিভিন্ন ট্রায়াল চলছে।
সম্প্রতি অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির দিয়ে ক্লিনিকাল ট্রায়াল করা হয়েছে। ট্রায়ালের প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে, রেমডেসিভির ওষুধে মারাত্মকভাবে অসুস্থ কোভিড -১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হয়। এতে ৬৮ শতাংশ রোগীর অবস্থার উন্নতি হয়েছে, ১৫ শতাংশে অবস্থা খারাপ হয়েছে। আর ১৩ শতাংশ মারা গেছেন।
এক কথায় বলা যায়, ম্যাজিকের মতো কাজ করছে এই ওষুধ। অ্যান্টি-ভাইরাল ওই ওষুধ ‘রেমডেসিভিরে’ দুই তৃতীয়াংশ রোগীই সুস্থ হয়েছেন।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন-এর এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
তবে এই গবেষণার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলেও জানানো হয় এই প্রতিবেদনে।
শুক্রবার রিপোর্টে জানা গেছে, পরীক্ষার ফলাফল ‘পরামর্শ দেয় যে গুরুতর কোভিড -১৯ এর রোগীদের ক্ষেত্রে রেমডেসিভির ক্লিনিকাল সুবিধা পেতে পারে।’
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গুরুতর কোভিড -১৯ এর ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে যারা রেমডেসিভির দিয়ে চিকিৎসা করেছিলেন, তাদের মধ্যে (ক্লিনিকাল) উন্নতি দেখা গেছে। ৫৩ রোগীর মধ্যে ৩৬ জন বা ৬৮ শতাংশ সুস্থ হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কার্যকারিতা পরিমাপের জন্য রেমডেসিভির থেরাপির চলমান প্রক্রিয়া এলোমেলো। এতে প্লাসেবো নিয়ন্ত্রিত ট্রায়ালগুলোর প্রয়োজন হবে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই পরীক্ষায় ৮ রোগী বা ১৫ শতাংশের অবস্থা খারাপ হয়েছে। আর ৭ রোগী বা ১৩ শতাংশ মারা গেছেন।
গিলিয়েড সায়েন্সেসের পৃষ্ঠপোষকতায় এই পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে। এটা দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২২ জন, ইউরোপ বা কানাডায় ২২ জন এবং জাপানে ৯জন রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছিল। এতে ভেন্টিলেটরের ব্যবহার বা পরিপূরক অক্সিজেন গ্রহণ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিমডেসিভির একটি ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ, যা ইবোলা, সার্স এবং এমইআরএস এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
সূত্র: স্পূটনিক