চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য ও আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আশাবুল হক ঠান্ডুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় বড়বোয়ালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় করোনা ভীতি উপেক্ষা করে শত শত মানুষ অংশ নেয়।
আশাবুল হক ঠান্ডুর জানাজায় অংশ গ্রহন করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী, পৌরসভার মেয়র হাসান কাদির গনু, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর,
জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি খোস্তার জামিল, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, মাসুদুজ্জামান লিটু, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক ও ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাওছার আহমেদ বাবলু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান হেজায়ার্দ্দার অনিক, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, কাজি খালেদুর রহমান অরুন, খাদিমপুর ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মন্ডল ও মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সচিব ও আওয়ামীলীগ নেতা জিনারুল ইসলাম।
এরআগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আশাবুল হক ঠান্ডু বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেন। তার লাশ গভীর রাতে এসে পৌছায় আলমডাঙ্গার বড়বোয়ালিয়ায় গ্রামের বাড়িতে। তার লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় শুক্রবার সকাল ১০ টায়।
এদিকে, সকাল ১০ টার আগেই বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মানুষ জানাজার স্থানে এসে উপস্থিত হন। উপস্থিত হন চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গার নেতাকর্মীরা। নিহত ঠান্ডুর নিজের ও আশপাশের গ্রাম থেকেও মানুষ করোনা ভীতি উপেক্ষা করে জানাজায় অংশ নিতে দেখা যায়। কিছুক্ষনের মধ্যেই বড়বোয়ালিয়া স্কুল মাঠ ও পাশের খোলা জায়গা মানুষে ভর্তি হয়ে যায়।
প্রথমদিকে, থানার ওসি আলমগীর কবীর মাইকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য উপস্থিত সবাইকে অনুরোধ করতে থাকেন। কিন্ত অতিরিক্ত মানুষের চাপে শেষ পর্যন্ত জানাজায় সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখা আর সম্ভব হয়নি।