মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে পশ্চিবঙ্গের মানিকতলার ১৫ নম্বর বস্তিতে।
মারধরের শিকার ওই বৃদ্ধের নাম নারায়ণ চৌরাসিয়া।
আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সত্তরোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধের লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি তাকে আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পাড়ারই লোকজন। সোমবার সকালেই বৃদ্ধকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। তাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে পরিবারের লোকজন চলে যেতেই বেরিয়ে পড়েন বৃদ্ধ। হাঁটতে হাঁটতে চলে যান ১৫ নম্বর বস্তিতে।
ঠিক তখনই ঘটে বিপত্তি। পাড়াজুড়ে হুলস্থুল পড়ে যায়। সবাই তাকে দেখে ‘করোনা রোগী! করোনা রোগী!’ বলে চিৎকার করতে থাকে। কেউ লাঠি হাতে তেড়ে যায় তাকে মারতে। কেউ আবার বাড়িতে ঢুকে পড়া আটকাতে তিনি কাছাকাছি যেতেই বন্ধ করে দেয় দরজা-জানালা!
এ সময় বৃদ্ধের দুহাতেই স্যালাইনের চ্যানেল, মাথায় সার্জিক্যাল ক্যাপ ও মুখে মাস্ক দেখে তাকে করোনা রোগী ভেবে বেঁধে ফেলা হয় গাছের সঙ্গে। এর পর চলে অমানসিক নির্যাতন।
পরে এলাকার এক ব্যক্তি চিনতে পারেন ওই বৃদ্ধকে। বৃদ্ধের পাড়ার লোক তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
মানিকতলা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে অবশ্যই দেখছি।’
সুত্র-যুগান্তর