করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে রোববার সকালে শাহ আলম (৫৫) নামে এক শ্রমজীবীকে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে বগুড়ার শিবগঞ্জের মহাস্থান বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি সেখানে দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
ওই ব্যক্তি ঢাকা থেকে রংপুরের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রংপুরের ধাপ মডার্ন মোড় এলাকার মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে শাহ আলম ঢাকায় দিনমজুরের কাজ করেন। করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে তিনি শনিবার রাতে ঢাকা থেকে রংপুরগামী পণ্যবাহী একটি ট্রাকে উঠেন।
রোববার সকালে ট্রাক বগুড়ার শিবগঞ্জের মহাস্থান বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে সন্দেহে ট্রাকের চালক ও হেলপার তাকে মহাসড়কের পাশে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
শাহ আলম দীর্ঘক্ষণ মহাসড়কের পাশে পড়ে থাকলেও ভয়ে কেউ কাছে আসেনি। সকাল ৯টার দিকে এক পথচারী দেখতে পেয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির স্থানীয় রায়নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামকে জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন।
চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ঘটনাটি শিবগঞ্জ থানাকে জানান। তখন থানার এসআই মোহাম্মদ আলী তাকে ভ্যানে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন শাহ আলম হৃদরোগী। তখন তাকে অ্যাম্বুলেন্সে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শফিকুল আমিন কাজল জানান, হৃদরোগী ওই ব্যক্তি বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শাহ আলমকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
সুত্র-যুগান্তর