মেহেরপুরে সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারের সংস্কার কাজ না করেই ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সংস্কার বিল উত্তোলন করে ভাগ বাটোয়ারার অভিযোগ উঠেছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে মেহেরপুর সড়ক ও জনপদ অফিসের স্টাফ কোয়ার্টার সংস্কারের একটি ই- টেন্ডারে (e-GP/LTM/MERD/31/2022-23) ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে স্টাফ কোয়াটারের ভিতর ও বাইরের সংস্কার কাজের দায়িত্ব পান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর ছোট ভাই ঠিকাদার শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুল।
৮১৯৯৭৮ নম্বর টেন্ডার আইডিতে কার্যতালিকায় দেখা যায় ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার কাজের মধ্যে রয়েছে স্টাফ কোয়ার্টারের ভিতর ও বাহিরের দেওয়ালের মেরামত, বৈদুতিক লাইনের মেরামত, প্লাম্বিং, সীমানা প্রাচীর এবং সড়ক ও জনপদের অফিসসহ স্টাফ কোয়ার্টারের রং করার কাজ। কিন্তু ঠিকাদার শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুল, সড়ক ও জনপদ বিভাগের এসও সাব্বির হোসেন এবং এসডিই মিজানুর রহমান পারস্পরিক যোগসাজশে কোন ধরনের সংস্কার কাজ না করেই জুন মাসে সমূদয় কাজের টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন।
এ বিষয়টি নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিন অনুসন্ধান শুরু করলে সম্প্রতি দায়সারাভাবে লোক কাজ শুরু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মেহেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের এসও সাব্বির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ট্রেনিংয়ে ঢাকাতে আছেন। এসডিই মিজানুর রহমানের কাছে ঠিকাদার কাজ না করে অর্থ কিভাবে উত্তোলন করল এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঠিকাদারকে টাকা দেওয়া হয়নি আমরা টাকা উঠিয়ে রেখে দিয়েছি, অন্যথায় জুন মাস শেষে টাকা ফেরত যেত এবং অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেত। ‘ কিন্তু এভাবে টাকা উঠিয়ে রাখার কোন সরকারি বিধান আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর ছোট ভাই ঠিকাদার শহীদ সফরাজ হোসেন মৃদুলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
অনুরূপভাবে ৭৮৩২৩৭ নম্বর ওয়ার্ক অর্ডারে দেখা যায় ১৯৯৫৭৯.৯৮(এক লক্ষ নিরানব্বই হাজার পাঁচশত উনআশি) টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপদ অফিসের গ্যারেজের সংস্কার ও রং করার কাজ। অভিযোগ এখানেও কোন কাজ না করেই ভূয়া বিলের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে নেওয়া হয়েছে। সরেজমিনে যেয়েও কোন কাজের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কাজটির ঠিকাদার সম্পর্কে জানতে বারবার এসও সাব্বির হোসেন এবং এসডিই মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলেও তারা এই সম্পর্কিত কোন তথ্য দেননি। এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ।