চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এবারের অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে ঘিরে অনেক আশা।
বর্তমান চ্যাম্পিয়নের খেতাব নিয়ে খেলতে নেমে এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ দল। ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে ইংল্যান্ডের কাছে হারে । তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কানাডাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশের যুবারা।
ইফতির ৮৭ রানের হার না মানা ইনিংসের সঙ্গে আইচ মোল্লার অপরাজিত ১৫ রানের কল্যাণে ৮ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে কানাডা অনূর্ধ্ব-১৯ দল। বাংলাদেশি বোলারদের বোলিংয়ের মুখে সুবিধা করতে পারেনি তারা। ৪৫ ওভার ব্যাট করে গুটিয়ে যায় ১৩৬ রানে। বাংলাদেশের পক্ষে রিপন মণ্ডল ও মেহেরাব হোসেন অহীন নেন সমান চারটি করে উইকেট। বাকি দুটি নেন আশিকুর জামান।
১৩৭ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ইফতেখার হোসেন ইফতির ফিফটি ও প্রান্তিক নওরোজ নাবিল ৩৩ রানের ইনিংসে ৮ উইকেট এবং ১১৯ বল হাতে রেখেই জয়ে দিকে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিরা।
এদিন ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে কোনো উইকেট হারায়নি তারা। তবে ১১তম ওভারের প্রথম বলেই রিপন মণ্ডলের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন জাশ শাহ। ২৭ বল খেলে ৮ রান করেন এই ওপেনার। অপর প্রান্তে অনুপ চাকমা সাবধানে খেলতে থাকেন।
তবে তাকে দর্শকের ভূমিকায় রেখে সতীর্থরা একে একে ফিরতে থাকেন সাজঘরে। ১২৬ রানে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে অনুপ সাজঘরে ফেরার আগে ১১৭ বলের মোকাবিলায় ৬৩ রান করেন। যেখানে ৭টি চার আসে তার ব্যাট থেকে। পরে কানাডা থামকে যায় ১৩৬ রানে।
জবাব দিতে ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম আউট হন ১২ রান করে। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান ইফতি ও প্রান্তিক। দ্বিতীয় উইকেটে তাদের পার্টনারশিপ থেকে আসে ৭৬ রান। প্রান্তিক ৫২ বল খেলে ৩৩ রানে আউট হলে ভাঙে তাদের জোড়া। পরে ফিফটি তুলে নেন ইফতি। অপরাজিত থাকেন ৬১ রান করে।