বাল্য বিবাহ ” শব্দটা বাংলাদেশে একটা সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে কত প্রাণ অকালে ঝরে পড়ছে তার সঠিক হিসেব কি কেউ রাখছে বা নিচ্ছে? বলা হয় অপুষ্টি বা জরায়ু ক্যান্সার বা কঠিন কোন অসুখে পড়ে মারা গেছে।
অশিক্ষিত পরিবারে কন্যা সন্তান জন্ম নেয়াটাই যেন পাপ। পিতামাতা শুধু একথাটাই ভাবেন, মেয়েটা কখন একটু বড় হবে? বিয়েটা দিতে পারলেই যেন বাঁচেন। একটি অসুস্থ প্রতিযোগীতার মতো চলছে ব্যাপারটি। সরকারীভাবে বহু সচেতনতা ও শাস্তির বিধান থাকলেও কে শুনে কার কথা।
সবচেয়ে বড় প্রয়োজন নিজে সচেতন হওয়া, আর সেটাইতো হচ্ছে না। তাই আইনের চোখ ফাঁকি দিতে মোটা অংকে টাকার বিনিমেয় রাতের আঁধারে অসাধু কাজী বিএনপি’র নেতা দুর্র্ধষ জামায়াত-শিবির ক্যাডার শামসুল কাজী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আবারো।পরিবারের সিদ্ধান্তে ঘর বাঁধেন। শুরু হয় একটি সুখী সংসারের ’পরশ পাথরের’ গল্প। ধন নয়, মান নয়, এইটুকু বাসা করেছিনু আশা।
প্রথমদিকে দাম্পত্য জীবনে বোঝাপড়াটা হয়ে ওঠে ’সোনার হাতে সোনার কাকন অলংকারে’র মতো বাঁধানো। কিন্তু বুকভরা আশা আর রঙিন স্বপ্ন নিয়ে ঘর বাঁধলেও সর্বক্ষেত্রে ধরা দিচ্ছে না সুখপাখি। কখনো কখনো মেহেদীর রঙ মোছার আগেই ভেঙে যাচ্ছে অনেকের সংসার। আধুনিকতার ছোঁয়ায় সংসারের বন্ধন দুর্বল হচ্ছে ক্রমেই। যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে মানুষ। ফলে বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ এই শামসুল কাজী’র জন্য।
কিন্তু ’সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে’ প্রচলিত এই প্রবাদ সময়ের ব্যবধানে ভেঙ্গে যাচ্ছে। এখন তালাকের ঘটনায় নারীরা পুরুষের চেয়ে দশগুণ এগিয়ে গেছে। বর্তমান সময়ে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে ৮০ শতাংশ তালাকের ঘটনা ঘটছে শামসুল কাজী’র বাল্যবিবাহর কারনে স্ত্রী কর্তৃক। স্বপ্নগুলো সত্য হয়ে উঠতে না উঠতেই খানখান হয়ে যাচ্ছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে অনেকে জানান দামুডহুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের চাকুরিয়া গ্রামের ভূমিখেকো অরফে চিটার নামে বিখ্যাত লুৎফর টেংরা। তার ছেলে অসাধু কাজী শামসুল। রেজিষ্ট্রার ছাড়ায় ১০, ১২,১৪,১৬, থেকে সকল অপ্রাপ্ত বয়স্ক দের বিয়ে পড়িয়ে থাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে।
এই বাল্যবিবাহ পড়ানোর কারণে বিগত পূর্ব দামুডহুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো: ফরিদ উদ্দীন। বাল্যবিয়ে পড়ানোর অপরাধের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এবং জীবনে এমন ভুল করবে না বলে শিখার করেন। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই প্রশাসনকে বিদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে বাল্যবিবাহ সহ অনেক অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন ভন্ড শামসুল কাজী।
যার কারণে অকালে ঝরে পড়ছে শত শত স্কুল ছাত্রীর প্রাণ। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে একটি জীবন, করোনাকালিন সময়ে ঘটেছে বেশ কিছু তালাকের ঘটনা যার বেশির ভাগই বাল্যবিবাহ কারন। শামসুল কাজী’র বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।
শামসুল কাজী’র অপকর্ম সবার সামনে তুলে ধরতে আমরা আসছিৃৃ বিস্তারিত জানতে মেহেরপুর প্রতিদিনে এ চোখ রাখুন।