মেহেরপুরের আলোচিত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে এবার নারী নির্যাতন মামলা দায়ের হয়েছে।
সম্প্রতি মেরিনা খাতুন নামের এক নারী মেহেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমণ ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ বিচারক জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় আরো তিন জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন বাদির স্বামী মিজানুর রহমান, শ্বশুর ফুল ছুরাত ও শাশুড়ি মিহিজান । আসামি আবুল কালাম আজাদ সদর উপজেলার বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি বাদি সম্পর্কে নুন্দাই।
আলোচিত আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে মেহেরপুর প্রতিদিনসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও টেলিভিশনে দুর্নীতি নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তিনি একটি হত্যা মামলারও প্রধান আসামি।
এদিকে নারী নির্যাতন মামলার এজাহারে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাদির সাথে আসামি মিজানুর রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আসামি নগদ এক লাখ টাকা ও ৩২ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের আংটি যৌতুক হিসেবে গ্রহণ করে। পরে আরো এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করিলে দিতে না পারায় আসামি বাদিকে তালাক দেয়।
এর পর পুনরায় এক লাখ টাকা দিলে আসামি বাদিকে বিয়ে করে। পরবর্তিতে আসামিরা আরো এক লাখ টাকা করে। সেই দাবি পূরণ না করতে না পারায় চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি বাদিকে পুনরায় তালাক দেন আসামি মিজানুর রহমান। তালাক দেওয়ার পর ওই এক লাখ টাকা প্রদান করিলে সমঝোতার মাধ্যমে পুনরায় গত ১০ মে বিয়ে করেন আসামি।
বারবার বিয়ে এবং তালাকের সময় সংসার কালীন সময়ে আসামি আবুল কালাম আজাদের পরামর্শে বাদির স্বামি মিজানুর রহমান, শ্বশুর ফুলছুরাত ও শাশুড়ি মিহিজান বাদিকে প্রায় নির্যাতন করতে থাকে। শেষ বারের বিয়ের পর পুনরায় আরো ২ লাখ টাকা দাবি করে।
টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা বাদিকে শারীরিক নির্যাতন করে এবং গর্ভবতী থাকায় তার পেটে লাথি মারে ভ্রুণ নষ্টার করার উদ্দেশ্যে। এসময় বাদির চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তিতে বাদির গর্ভপাত ঘটে।