ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় একটি খাল থেকে মো. পীর আলী (৩৮) নামে এক ইউপি সদস্য প্রার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার নলভাঙ্গা গ্রামের একটি খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত পীর আলী নলভাঙ্গা গ্রামের শামসুল হকের ছেলে।
গত ২৮ নভেম্বর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড থেকে ফুটবল প্রতীক নিয়ে মেম্বার পদে নির্বাচন করেন পীর আলী।
স্থানীয়রা জানান, পীর আলী রাতে পেয়ারাবাগান পাহারা দিতে যান। রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। সকালে অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশের খালে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন।
পীর আলীকে গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি গ্রামের দুটি স্পর্শকাতর মামলার প্রধান সাক্ষী।
নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম জানান, রোববার রাত ৮টার দিকে সর্বশেষ তার ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রতিদিনই তিনি রাতে পেয়ারাবাগান পাহারা দিতে যান। গতরাতেও গিয়েছিলেন; কিন্তু আর ফেরেননি। সকালে খালের পাড়ে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
শাহিনুর রহমান নামে এক মামলার বাদী জানান, ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে গ্রামের কয়েকজন তাকে মারধর করে। সেই মামলায় পীর আলী প্রধান সাক্ষী। এ ছাড়া মেয়েদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় শাহানুর নামে আরেকজনের দুই পা কাটা মামলার প্রধান সাক্ষী ছিলেন পীর আলী। মামলার সাক্ষ্য দেওয়ায় আসামিরা তাকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিত। এ নিয়ে ৪ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ থানায় পীর আলী একটি জিডিও করেন।
কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মতলেবুর রহমান জানান, খালের পাড়ে পড়ে থাকাবস্থায় পীর আলীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার গলায় ফাঁসের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বলা সম্ভব নয়।