ঝিনাইদহ থেকে প্রকাশিত বহুল প্রচারিত দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার বার্তা প্রধান জেলার সিনিয়র সাংবাদিক আসিফ কাজল এবং দৈনিক যুগান্তরের কালীগঞ্জ প্রতিনিধি শাহরিয়ার রহমান সোহাগসহ তিনজনের নামে ৫০০/৫০১ ধারায় অভিযোগ দিয়েছেন আব্দুস সালাম ও আজির উদ্দীন নামে ব্যাংকের দুই কর্মচারী। এই দুই কর্মচারী সম্প্রতি টাকা চুরির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন।
অভিযোগপত্রে প্রধান আসামি করা হয়েছে কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মোঃ নাজমুস সাদাতকে। সোমবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী কালীগঞ্জ আদালতের বিচারকের আদালতে সাময়িক বরখাস্তকৃত আব্দুস সালাম ও আজির উদ্দীন পৃথক ভাবে অভিযোগ দুইটি দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারী কালীগঞ্জ থানার ওসিকে প্রতিবেদন দাখিলের নিদের্শ দিয়েছেন।
বাদী আব্দুস সালাম ও আজির উদ্দীন পৃথক অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, প্রধান আসামি তার অধীনস্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। প্রতিবাদ করায় দুই মামলার বাদীর সঙ্গে প্রধান আসামি ব্যাংক ম্যানেজারের মত বিরোধ হয়।
এরপর ১ নং আসামি অপর আসামিদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ব্যাংকের কর্মচারী প্রবিধানমালা-২০০৮ বিধি উপেক্ষা করে বাদী ও তার পরিবারের ভাবমূর্তি নষ্টের জন্য অপপ্রচারের অংশ হিসেবে গত ২৭ ও ২৮ অক্টোবর “কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যংকের দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ ম্যানেজারসহ দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেন। এতে ১০ লাখ টাকা করে দুই বাদীর নাকি ২০ লাখ টাকা সম্মানহানী ঘটেছে বলে দাবী করা হয়।
এদিকে অগ্রণী ব্যাংক ঝিনাইদহ জোনাল অফিস থেকে তথ্য নিয়ে জানা গেছে, মামলা দায়েরকারী কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকের দুই কর্মচারী আব্দুস সালাম ও আজির উদ্দীন ব্যাংক থেকে ভুয়া কৃষক সাজিয়ে লাখ লাখ টাকা লুট করেছেন। তদন্ত শুরুর আগে ও পরে তারা বিভিন্ন সময় ২৫ লাখ টাকা জমাও দিয়েছেন। প্রথমিক ভাবে সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ঝিনাইদহ জোনাল অফিস ও ঢাকা অফিসের তদন্ত চলমান রয়েছে।
কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকের ম্যানেজার নাজমুস সাদাত জানান, প্রতিদিন সাময়িক বরখাস্তুকৃদদের বিরুদ্ধে নতুন নতুন অসঙ্গতি ও দুর্নীতির তথ্য পাচ্ছে তদন্ত দল।
এদিকে দুই সাংবাদিকের নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক অভিযোগ দাখিল করায় সারা জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ঝিনাইদহ, কালীগঞ্জ, শৈলকুপা, হরিণাকুন্ডু, মহেশপুর ও কোটচাঁদপুরে কর্মরত সাংবাদিক, প্রেস ক্লাব ও রিপোর্টার ইউনিটের সদস্যরা এই মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক অভিযোগ অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছেন। নইলে তারা কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দিয়েছেন।