ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারইপাড়া এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের গায়েবী বিল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার জুলাই মাসের বিল করতে গেলে গ্রামবাসীরা মিটার রিডার রঞ্জন কুমার কে প্রায় তিনঘন্টা আটকে রাখে। পরে কালীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম ইকবাল আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিটার রিডারকে উদ্ধার করেন।
সোমবার সকালে উপজেলার বারইপাড়া এলাকায় মিটারের রিডিং লিখতে গেলে তাকে আটকে রাখে স্থানীয়রা। এসময় মিটার রিডার রঞ্জন কুমার বিদ্যুৎ বিলের গড়মিলের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, মিটার থেকে একরকম লিখে নিয়ে গেছে কিন্তু বিল এসেছে বেশি ইউনিটের। বারইপাড়া এলাকার ২০২ জন গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিলে এমন গায়েবী বিল করা হয়েছে।
বারইপাড়া এলাকার জসিম উদ্দিন জানান, জুন মাসে মিটার রিডিং থেকে ৪৪৭৫ ইউনিট লিখে নিয়ে যায় মিটার রিডার রঞ্জন কুমার। কিন্তু বিলে ৪৫১৫ ইউনিট উল্লেখ করা হয়। এই ৪০ ইউনিট বেশি করে বিলের কাগজ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২০২ জন গ্রাহকের সবারই এমন হয়েছে।
বারইপাড়া জামে মসজিদের সেক্রেটারী আনোয়ার হোসেন জানান, মসজিদের মিটার থেকে ৬৩০ ইউনিট লিখে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বিল আসে ৬৫০ ইউনিটের। এভাবে অনেক মানুষের বেশি টাকা গুনতে হয়েছে।
মিটার রিডার রঞ্জন কুমার জানান, তিনি তার রেজিষ্ট্রারে মিটারের ইউনিট লিখে নিয়ে বিল প্রস্তুতকারীর কাছে জমা দিয়েছেন। কিন্তু বিলে কেন বেশি করা হলো সেটি তিনি জানেন না।
কালীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিল প্রস্তুতকারী শাহানাজ খাতুন ভূল হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, মিটার রিডার রঞ্জন কুমার জুন মাসে মিটার রিড করতে যায়নি। তিনি নিজের ইচ্ছামত বিল করে দিয়েছেন।
কালীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মোঃ কামরুজ্জামান জানান, একটু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। গ্রামবাসীরা অফিসে এসেছিল। বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।