ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শাখার অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নাজমুস সাদাতের বিরুদ্ধে নারী গ্রাহকের সাথে অশালীন আচরণ ও কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভিকটিম যৌন হয়রানির ঘটনায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মহোদ্বয় বরাবর ম্যানেজারের বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে আবেদনের অর্ধমাস পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোন বিচার পায়নি।
এদিকে শাখা ব্যবস্থাপকের উৎপাতে সম্ভ্রম বাঁচাতে বিধবা অলোকা রাণী তার স্বামীর ভিটে ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ব্যবস্থাপক কর্তৃক গ্রাহকের সাথে এই অশালীন আচরণ ও কু-প্রস্তাবের কথা প্রকাশ পেলে অগ্রণী ব্যাংকের গ্রাহক সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকের শাখা হতে গত ২২ মে ২০২০ তারিখে ০২০০০১৫২৬১৫৪৬ নং লোন হিসাবের পয়ষট্রি হাজার টাকা কৃষিঋণ পরিশোধের সুবিধা দেওয়ার কথা বলে উক্ত নারী গ্রাহককে ব্যাংকে ডেকে এনে কু-প্রস্তাব দেন ব্যবস্থাপক নাজমুস সাদাত।
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর অলোকা রানী অধিকারীর করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নাজমুস সাদাত গ্রাহক অলোকা রানীকে ফোন করে ব্যাংকে দেখা করতে বলেন। অলোকা রানী গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে শাখা ব্যবস্থাপক নাজমুস সাদাতের এর কক্ষে প্রবেশ করে ফোন করার কারণ জানতে চান। পরে ম্যানেজার তাকে গৃহিত ঋণ সম্পর্কে জানাতে চান এবং ঋণ গ্রহীতা তার ঋণটির সঠিকতা নিয়ে সত্যায়ন করেন। এরপর তিনি উক্ত বিধবা মহিলার দিকে তাকিয়ে কু-প্রস্তাব দেন। তার কথা শুনে উক্ত ঋণ গ্রহীতা চরমভাবে লজ্জিত এবং বিব্রতবোধ করেন। পরে ভূক্তভোগি নারী মাথা নিচু করে শাখা থেকে চলে যান। এর পর ব্যবস্থাপক বিভিন্ন সময়ে তাকে ফোনে ডাকে এবং একাধিক বার মহিলার বাড়িতে যায় এবং ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে সহায়তা করা হবে বলে ডেকে নিয়ে কু প্রস্তাব দেয়।
কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যংকের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে ব্যাংকের ম্যানেজার নাজমুস সাদাতের এহেন আচরণের জন্য তার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তিনি ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ অভিযোগের বিষয়ে কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকের ম্যানেজারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঋণ গ্রহীতা অলোকা রানীকে আমি চিনি না এবং দরখাস্তের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
মনিরুজ্জামান রাসেল
ঝিনাইদহ।
মোবাঃ ০১৭১২৯৯৯৭৩৪