করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনের জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে আজ সেই পরীক্ষার প্রথম ফলাফল প্রকাশ করার কথা রয়েছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে এই টিকা তৈরির কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই প্রচুর সংখ্যক মানুষের শরীরে এই ভাইরাসের পরীক্ষা চালানো হয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশের পরেই বোঝা যাবে এই টিকা কতোটা নিরাপদ এবং একইসাথে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এটি কতোখানি কার্যকর।
চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী দ্য ল্যানসেটে এই গবেষণা ফলাফল প্রকাশিত হবে।
অধিকাংশ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ এই ভাইরাসের টিকা বাজারে চলে আসবে।
সাধারণত এধরনের টিকা তৈরিতে বহু বছর লেগে যায়। সেই বিচারে একে বড় ধরনের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
তবে এই টিকা যে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সফল হবে তার কোন গ্যারান্টি নেই।
মানবদেহে ইতোমধ্যে চার ধরনের করোনাভইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। এর কোনটিরই টিকা তৈরি হয়নি।
এদিকে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন চ্যাডক্স-১এনকোভ-১৯ এর প্রথম ধাপের ফল প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যালস জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে যৌথভাবে এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে অক্সফোর্ড।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী বছরের মাঝের দিকে হয়তো যেকোনও একটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিস্তৃত পরিসরে সহজলভ্য হতে পারে। সাধারণত যেকোনও ভ্যাকসিন তৈরি এবং চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কয়েকবছর এমনকি কয়েক দশকের দরকার হয়। তবে অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিন যদি সফল হয় তাহলে সেটি হবে একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার।
গত ১৫ জুলাই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ভ্যাকসিন তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানী দল বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকীতে এর ফল প্রকাশের অপেক্ষা করছেন। তবে এ বিষয়ে আর কোনও বিস্তারিত তথ্য তিনি দেননি।
এর আগে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, তারা ভ্যাকসিনটির সফলতার ব্যাপারে ৮০ শতাংশ আশাবাদী। যদি সফল হয় তাহলে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মানুষের শরীরে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ শুরু করা যেতে পারে। সূত্র: বিবিসি বাংলা