কিডনির যত্ন নিতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও হাইপ্রেসার, প্রেসক্রিপশন ছাড়া ব্যথার ওষুধ সেবন, অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়েটিক খাওয়া, অনিয়মিত ওষুধ গ্রহণ, অতিরিক্ত গ্যাসের ওষুধ সেবন কিডনির জন্য ক্ষতিকর।
কিডনির কাজ শরীরের মেটাবলিক প্রোডাক্টগুলো বের করে দেওয়া। কিন্তু আপনি যখন অতিরিক্ত ওষুধ খাচ্ছেন তখন কিডনির ভূমিকা বৃদ্ধি করে দিচ্ছেন মেটাবলিক প্রোডাক্টগুলোকে বের করে দিতে। কিডনির কাজের চাপ বৃদ্ধি করেন এবং এই চাপ যদি তার ধারণক্ষমতার বাইরে চলে যায়, তাহলে তো সে কাজ বন্ধ করে দেবেই।
মাত্রাতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি যেহেতু কিডনির জন্য ক্ষতিকর, সেজন্য প্রাকৃতিক খাবার খেতে হবে। সব ধরনের কোমল পানীয় পরিহার করতে হবে। হাই ক্যালোরি খাবার খাওয়া যাবে না। চিকেন, বার্গারের মতো রিচ ফুড খাওয়া পরিহার করতে হবে।
এ ধরনের খাবারে অনেক ক্যালোরি থাকে, যা শরীরে জমা হয় এবং শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস হবে। এজন্য টাটকা সবজি ও ফলমূল খেতে হবে।
সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট খেতে হবে। পাশাপাশি প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করতে হবে।
সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন গ্রহণ করতে হবে। তবে যাদের কিডনি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ‘ডি’- এর কনভার্সনটা (পরিবর্তন) কমে, বাড়ে বা অস্বাভাকি হয়ে যায়।
হাড়ের মেটাবলিজম অ্যাবনর্মালিটিজ নামের একটি রোগ রয়েছে। কিডনি নষ্ট হলে এই রোগের কারণে হাড় তৈরির উপাদানগুলো নষ্ট করে ফেলে। এ রকম উপাদান কমে যাওয়ার ফলে ক্যালসিয়াম ও ফসফেট কমে বা বাড়ে। এ অবস্থায় রোগীকে কমপ্লিমেন্ট বা সাপ্লিমেন্ট দিতে হয়।
অনেকেই বলেন কিডনির ওষুধ ডাইক্যালট্রল। আসলে কিডনির ওষুধ বলতে কিছু নেই। কিডনির সমস্যা হলে ভিটামিন ‘ডি’ কনভার্সন নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য এই ওষুধটা দিতে হয়। তবে এটা দেওয়ার ক্ষেত্রে দেখতে হবে রোগীর শরীরে ভিটামিন ‘ডি’, ক্যালসিয়াম ও ফসফেটের কী অবস্থা।
কিডনির অসুখের জন্য ডাইক্যালট্রল খাওয়াটা সব সময় যে ভালো ফল বয়ে আনবে তা কিন্তু নয়। এজন্য আসলে পরিমিতি বোধটা সবার দরকার।