সাধারণ মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, অধিকার আদায়ের আন্দোলন, সংগ্রাম এবং তার কর্মজীবনের গল্প পৌঁছে দিতে দেশে কুষ্টিয়া কুমারখালীতে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে ভ্রাম্যমাণ বঙ্গবন্ধু রেল জাদুঘর।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর’ নামের এ জাদুঘরটি ২৫ ও ২৬ শে আগস্ট কুমারখালী রেলস্টেশনে প্রদর্শনের জন্য চালু করেছে।
গত ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাদুঘরের উদ্বোধন করেন। পরে সোমবার (১ আগস্ট) রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গোপালগঞ্জ স্টেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে কোচ দুটির প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। একটি ব্রডগেজ এবং একটি মিটারগেজ কোচ নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর।
ভ্রাম্যমাণ এ রেল জাদুঘর দেশের বিভিন প্রান্তে থাকা স্টেশনগুলোতে প্রদর্শনের জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত থাকবে। ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর দেখতে আসা অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাকীব বলেন, ট্রেনের বগিতে এই জাদুঘরে দেখে অনেক ভালো লাগছে।
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যা জানতাম না এখানে এসে সেই গুলো জানতে পারছি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এরই মধ্যে ঢাকা থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত রেল জাদুঘরটির ট্রায়াল সম্পন্ন করা হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, মিটার গেজ শুরু হয় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে আর ব্রডগেজ শুরু হয় গোপালগঞ্জ স্টেশন থেকে। জাদুঘর দুটিতে বঙ্গবন্ধুর জীবনের ওপর নির্মিত তথ্যবহুল ও মনোমুগ্ধকর ১২টি পৃথক চিত্র ও দুর্লভ আলোকচিত্রের সমন্বয়ে সাজানো হয়েছে। জানা গেছে, দুটি কোচের একটি থাকবে দেশের পূর্বাঞ্চলে অন্যটি থাকবে পশ্চিমাঞ্চলের রেলস্টেশনে।
বৃহস্পতিবার কুমারখালী রেলস্টেশন প্রাঙ্গনে দুইদিন ব্যাপী রেল জাদুঘর প্রদর্শনের শুভ উদ্বোধন করা হয়।করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এটিএম আবুল মনসুর মজনু, রাজবাড়ি রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর পরিদর্শক মিঞা মো. আল মামুন, কুমারখালী রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা য্বুলীগের দপ্তর সম্পাদক মনোয়ার হোসেন প্রমূখ।
কুমারখালী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল জাদুঘর পরিদর্শনে এসে বলেন, জাদুঘরটিতে ১৯২০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতার ঐতিহাসিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধ, সংগ্রামী ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে। সাধারণ দর্শনার্থীরা টাচ স্ক্রিনে আঙুল স্পর্শ করতেই ভেসে আসবে বঙ্গবন্ধু ছবি, ভাষণ, তার জীবনের নানা দিক-নির্দেশনা।
আমি শুনেছি প্রায় দেড় বছর সময় ধরে এটি তৈরি করা হয়েছে। দেশের ৮০ শতাংশ রেলস্টেশন গ্রাম-বাংলায় ছড়িয়ে রয়েছে। প্রান্তিক মানুষের কাছে জাতির পিতার ঐতিহাসিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধ, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এ জাদুঘর।