কুষ্টিয়ায় পদ্মায় আবারও ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। জেলার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া মির্জানগর এলাকায় পদ্মার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনও তীব্র হচ্ছে। ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে বৈদ্যুতিক টাওয়ার, ফসলি জমি। হুমকির মুখে পড়েছে বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী জাতীয় মহাসড়ক।
সম্প্রতি পানির তোড়ে হঠাতই তলিয়ে যায় জাতীয় গ্রিডের ২ নাম্বার বৈদ্যুতিক টাওয়ার। পানির তোড়ে তলিয়ে যাচ্ছে একরের পর একর ফসলি জমি। স্থানীয় মাদরাসা ও বসতবাড়িও হুমকির মুখে পড়েছে। মাস দেড়েক আগে আরও একটি বৈদ্যুতিক টাওয়ার তলিয়ে যায় পানির তোড়ে। অব্যাহত ভাঙনে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ওই এলাকার হাজারো মানুষ।
মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক ইসাহক জানান, ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বেশ কয়েক বিঘা জমি। বসতবাড়িই এখন সম্বল। যেভাবে ভাঙছে নদী তাতে শেষ সম্বল বসতবাড়ি যেকোনো সময় বিলীন হয়ে যাবে।
একই এলাকার সুমনা খাতুন জানান, সহায় সম্বল বলতে বাড়িটুকুই। জমি জায়গা যা ছিল তা আগেই নদী কেড়ে নিয়েছে। বাড়িটুকু হারালে পরিবার নিয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো।
বহলবাড়িয়া জামিউল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ জুয়েল জানান, মাদরাসার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে পদ্মা নদী। যেভাবে ভাঙছে তাতে যেকোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে মাদরাসাটি। এনিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান বিআইডব্লিউটিএ ও কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান জানান, পদ্মায় পানি কমার সঙ্গে ভাঙনও তীব্র হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব এলাকায় ভাঙন তীব্র হচ্ছে সেই এলাকায় ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে। তবে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পানি কমলেই কাজ শুরু করা হবে।
গত এক সপ্তাহে মিরপুর উপজেলার সাহেব নগর, মির্জানগর, তালবাড়িয়া এলাকায় প্রায় ১০০ একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।