কুষ্টিয়ার খোকসায় অবৈধ রং, ফিটকিরি, চিটাগুড় মিশিয়ে আখের ভেজাল গুড় তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার রাতে অনুসন্ধানের ভিত্তিতে খোকসা উপজেলা সদরের ডাকবাংলো মোড়ে দিলীপ ট্রেডার্স নামের ওই ভেজাল আখের গুড় তৈরির কারখানায় অভিযান চালানো হয়।
কারখানার মালিক সুকৌশলে পালিয়ে গেলেও কারখানার দুই কর্মচারীকে প্রত্যেককে এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো: সবুজ হাসান।
দন্ডপ্রাপ্ত কর্মচারীরা হলো খোকসা ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের রশিদ হোসেনের ছেলে রেজউল ইসলাম ও রব্বান শেখের ছেলে রশিদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
আদালত সূত্র জানায়, নিম্নমানের চিনির সঙ্গে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য রং, ফিটকিরি, চিটাগুড় মিশিয়ে আখের গুড় তৈরির সময় হাতেনাতে তাদের আটক করা হয়। এসময় ওইসব পণ্য জব্দ ও ভেজাল গুড় ধ্বংস করেন আদালত।এসময় ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় কারখানার চুল্লীগুলো নেভানো হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: সবুজ হাসান জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতিষ্ঠানটি নকল গুড় উৎপাদন করে আসছে, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটক কারখানার দুই কর্মচারীকে ভোক্তা সংরক্ষন আইন২০০৯ এর ৪৩ ও ৫২ ধারা মোতাবেক এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
তিনি আরও জানান, ভেজাল গুড় তৈরির কেমিক্যাল উদ্ধার করা হয়। কারখানা থেকে নিম্ন মানের চিনি, ফিটকিরি ও বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিকেলসহ প্রচুর পরিমাণ ভেজাল গুড় জব্দ করা হয়। পরে ভেজাল গুড় তৈরির এসব উপকরণ ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে সহায়তা করেন কুষ্টিয়া র্যার ১২ এর ইস্কাটন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খানসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন চক্রটি খোকসা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আখের ভেজাল গুড় তৈরি করে দেশব্যাপী বাজারজাত করে আসছে। বিভিন্ন সময়ে এদের একাধিক কারখানায় অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনের অভিযোগে জেল জরিমানা করার পরেও তারা আবার শুরু করে এই ভেজাল কর্মকান্ড।