কুষ্টিয়ায় এবার উপজেলা চেয়ারম্যান, এসিল্যান্ড, সরকারি হাসপাতালের দুইজন চিকিৎসকসহ ১৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে কুষ্টিয়া জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ জন। কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
করোনায় আক্রান্তরা হলেন- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফীন, কুমারখালী উপজেলার এসিল্যান্ড মোহাইমিন আল জিহান (৩০), ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই উপসহকারী মেডিকেল অফিসার, কুমারখালী উপজেলার নারায়ণগঞ্জ ফেরত একই পরিবারের চারজন সদস্য, ঢাকা ফেরত এক তরুণী, খোকসা উপজেলার স্বামী-স্ত্রী ও তাদের তিন সন্তান এবং দৌলতপুর উপজেলার তিনজন।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, জানান, নতুন করে করোনায় আক্রান্তদের নমুনা গত ২৬ এপ্রিল সংগ্রহ করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে কুষ্টিয়া জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ জন।
কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আকুল উদ্দিন জানান, কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মীর্জাপুর গ্রামের এক ব্যক্তি (৩২), তার মা (৫০), স্ত্রী (২৬) ও বড় ভাই (৩৫) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই ব্যক্তি চলতি সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন। তার মাধ্যমে পরিবারের অন্য তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও এ উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের এক তরুণী (১৯) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি গত তিন সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার গ্রামের বাড়িতে আসেন।
এদিকে ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই উপসহকারী মেডিকেল অফিসা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল মারুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান সোহেল জানান, এ উপজেলায় একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী ও তাদের তিন সন্তান করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত ঢাকার এসবিতে কর্মরত পুলিশের এক এসআইয়ের মাধ্যমে একই পরিবারের এই পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, সোমবার রাতে তাদের বাড়ি এবং পাশের বিলজানি বাজার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
দৌলতপুরে আক্রান্তরা হচ্ছেন উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের পশ্চিম দক্ষিণ ফিলিপনগর গ্রামের এক যুবক (৩৫), হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি তাজপুর গ্রামের এক যুবক (২৬) এবং পেয়ারপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর নওদাপাড়া গ্রামের এক নারী। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, জেলায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীরপুর থেকে আসা ৩ হাজার ৫৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।