কুষ্টিয়ায় আয়েশা খাতুন নামে ৫ মাস বয়সী এক শিশু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।
কুষ্টিয়ায় সবচেয়ে কম বয়সী শিশুর করোনা আক্রান্তের ঘটনা এটি দ্বিতীয়। এর আগে গত ২২ জুন প্রিন্স নামে দেড় মাস বয়সী এক শিশু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। সে সুস্থ হয়ে উঠেছে। করোনা আক্রান্ত শিশুটির বাড়ি কুষ্টিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আড়ুয়াপাড়া এলাকার ৭৫ আমিনুল হক বাদশা সড়কে।
গত এক সপ্তাহ ধরে শিশুটির দাদা-দাদি, চাচা, বাবা-মা, ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা জ্বর ও ঠান্ডায় ভুগছিলেন। শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখে বুধবার তারা নমুনা পরীক্ষা করান। এতে শিশুটির দাদা-দাদি, চাচা, বাবা-মা, ভাইসহ ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরের দিন বৃহস্পতিবার চিকিৎসকেরা শিশু আয়েশার নমুনা পরীক্ষার পরামর্শ দিলে শিশুটির করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। করোনা শনাক্তর পর শিশুটিকে হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আয়েশার চাচা হাফিজুর রহমান বলেন, বুধবার আমাদের পরিবারের সাত সদস্যের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। পরে শিশু আয়েশারও রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তিনি আরও বলেন, এক সপ্তাহ ধরে পরিবারের অন্যান্য সদদ্যের ঠান্ডা-জ্বর ছিল। বুধবার নমুনা পরীক্ষা করলে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে তাদের।
পরে বৃহস্পতিবার আয়েশার নমুনা পরীক্ষা করালে তারও পজিটিভ রিপোর্ট আসে। পরিবারের সদস্যরা জানান, আয়েশার শরীরে এখন কোনো উপসর্গ নেই। আগে জ্বর ছিল। বর্তমানে জ্বর চলে গেছে। সে নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া ও খেলাধুলা করছে। তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও ভালো আছেন।
শিশু আয়েশার বিষয়ে সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ইনজামুল হক বলেন, শিশুটির শরীরে সামান্য জ্বর ছাড়া আর কোনো লক্ষণ নেই। সে ভালো আছে। নমুনায় করোনা পজিটিভ আসার পর শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অ্যান্টিজেন টেস্ট ইউনিটের ইনচার্জ সেলিনা আক্তার চম্পা।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গত মাসে দেড় মাস বয়সী এক শিশু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠেছে। ভয়ের কিছু নেই। দেশে অনেক শিশু করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসায় তারা সুস্থ হয়ে যায়। আয়েশা নামের শিশুটি পরিবারের সংস্পর্শে সংক্রমিত হতে পারে।