কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার তাপস কুমার সরকার তথ্য নিশ্চিত করেন।
এনিয়ে জেলায় করোনায় মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়ালো ২০২ জনে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮১ টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৯৭ জন করোনা শনাক্ত হন। কুষ্টিয়ায় করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি থামছে না। হাসপাতালে রোগীর চাপও বাড়ছে। কুষ্টিয়ায় এ পর্যন্ত ৬১ হাজার ৯৬৭ জনের সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার প্রাপ্ত ফলাফলে ৭ হাজার ৭৩৪ জন করোনা শনাক্ত হন।
হাসপাতালে এখন মোট ভর্তি রোগী সংখ্যা ১৫৪ জন। এদিকে রোগীর বাড়তি চাপ সামলাতে চিকিৎসক-নার্সদের হিমশিম অবস্থা। ক্রমবর্ধমান বাড়তি রোগী জন্য অক্সিজেন সংকট আশংকা করা হচ্ছে।
তবে করোনা রোগীর জীবন বাঁচাতে ও অক্সিজেন সংকট নিরসনে সম্প্রতি কুষ্টিয়া সদর আসনের এমপি মাহবুব-উল আলম হানিফ দুই দফায় ২০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার হাসপাতালে পৌঁছে দেন। হাসপাতালে ১০টি বেডের জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহসহ ৫৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে করোনা চিকিৎসা চলছে। তবে সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি ও ক্রমাগত রোগী বাড়তে থাকায় অক্সিজেন সংকট দেখা দিতে পারে বলে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা আশংকা প্রকাশ করেন।
অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহারের পর তা যশোর থেকে রি-ফিল করে এনে পুনরায় করোনা রোগীকে সরবরাহ করতে দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। ফলে স্বল্প সংখ্যক অক্সিজেন সিলিন্ডারে রোগী চিকিৎসায় সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। কোভিড ডেডিকেটেড এ হাসপাতালটির সব বেডগুলোই সম্পূর্ণ সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহের আওতায় আসলে এ সংকট দুর হবে বলে চিকিৎসকরা জানান।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার তাপস কুমার সরকার জানান, কোভিড ডেডিকেটেড এ হাসপাতালের সম্পূর্ণ বেডগুলো সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থার আনার কাজ চলছে। শীঘ্রই তা বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি জানান।