কুষ্টিয়ায় করোনা পজিটিভ শনাক্তে রেকর্ড ছাড়িয়েছে। গেলো ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে ৩২৪ জন (কোভিড-১৯) করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এবং মারা গেছে ৯ জন। এ নিয়ে কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ২১১জন।
বুধবার রাতে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ এএইচএম আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বুধবার কুষ্টিয়ায় ৮৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট ৩২৪ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন জানান, হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৪ জনে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত ১৬৫ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও ২৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানানো হয়।
রোগী শনাক্তের হার এবং মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ সম্পর্কে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, লকডাউন চললেও মানুষ তা উপেক্ষা করে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করছে না। মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে না। যে কারণে জেলায় এখন করোনার কমিউনিটি ট্রানজেকশন দেখা দিয়েছে। আর করোনার শুরু থেকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছে না। সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ছুটে আসছে। যে কারণে রোগী মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে।
গত কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন ৮-১০ জন করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করছেন। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন জানান, হাসপাতালে আপাতত অক্সিজেনের কোন সঙ্কট নেই। আর এখন থেকে প্রতিদিন ১০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার কুষ্টিয়া থেকেই রিফিল করা সম্ভব হচ্ছে। বাকি অক্সিজেন সিলিন্ডার আগের মত প্রতিদিন যশোর থেকেই রিফিল করে আনা হবে। এদিকে আগামী এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।