কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় মরমী সাধক বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের মাজারের তিনটি সিন্দুক ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
ধারণামতে গত ১৪ তারিখ রাতে ঝড়ের সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকা অবস্থায় মাজারের ছাদের কারনিশ দিয়ে প্রবেশের মাধ্যমে এই চুরির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় মাজারের দায়িত্বরত খাদেম আজ সকালে মাজারের মূল দরজা খুললে তিনটি সিন্দুক ও সিসি ক্যামেরা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পায়।
লালন শাহ’র মাজারের মত দর্শনীয় স্থানে চুরির ঘটনায় মাজারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। মাজারের খাদেম রিপন জানান, সকালে লালন মাজারের দরজা খুলে সিন্দুকগুলোর তালা ভাঙা দেখতে পান তিনি। তিনটি সিন্দুকেরই তালা ভাঙ্গা। যেখান থেকে সব টাকা চুরি হয়ে গেছে। লালন মাজারের ভেতরে বাউল সম্রাটের সমাধীঘেঁষে দানবাক্স হিসেবে ওই সিন্দুকগুলো রাখা আছে।
এবিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, নাইট গার্ড, খাদেম ও এতো সিসি ক্যামেরাযুক্ত স্থানে অভ্যন্তরীন কেউ জড়িত না থাকলে কিভাবে এমন চুরির ঘটনা ঘটতে পারে তা আমাদের বোধগম্য নয়! তাই অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি আসলাম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, লালন সাইজীর মাজার শুধু কুষ্টিয়ার নয় সারা বিশ্বের কাছে দর্শনীয় স্থান। এখানে এধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কাম্য নয়। লালন মাজারে সার্বক্ষনিক পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা চালু রয়েছে। সিসি টিভির ফুটেজ দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় আমরা তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ র্যাব ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে দর্শনার্থীরা এখানে টাকা দান করেন।
তবে এতে কি পরিমান টাকা ছিল তা কেউ জানে না। প্রতিবছর লালন স্বরণোৎসবের আগে এটি খোলা হয়। তারপর আবার জেলা প্রশাসন থেকে এটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। চুরির বিষয়ে লালন ভক্তরা ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবী করেছেন।