কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পরে বাড়ির মহিলাকে বেধড়ক পিটিয়ে তার বড় মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা ও ছোট মেয়েকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। তবে কুমারখালী থানার ওসি মজিবুর রহমানের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়।
সোমবার (১১মে) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে কুমারখালীর চাপড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ মার্চ পাহাড়পুরে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে মৃত চাঁদ আলীর ছেলে নেহেদ আলী (৬০ ) ও বকুল আলী (৫৫) নামে আপন দুই সহোদর খুন হন। সেই জোড়া খুনকে কেন্দ্র করে এলাকায় লুটপাট ভাংচুর ও উত্তেজনা চলে আসছিল।
এ ঘটনার জেরে সোমবার রাতে এক পক্ষের তথ্য অন্যপক্ষের নিকট আদান-প্রদান করা সন্দেহে ছাদ ব্যাপারী সমর্থিত ৩০/৪০ জন রবিউলের বাড়িতে আকস্মিক হামলা চালিয়ে তার স্ত্রী বিউটিকে মারপিট করে ফ্রিজ, টিভিসহ অন্যান্য মালামাল লুটপাট করে।
এ সময় তার বড় মেয়েকে বাঁশবাগানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং ছোট মেয়েকে অপহরণ করে ছাদ ব্যাপারীর বাড়িতে লুকিয়ে রাখে।
এ ব্যাপারে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, রবিউলের বাড়িতে ছাদ ব্যাপারীর সমর্থিত ৩০/৪০ জন হামলা চালিয়ে তার স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করে লুটপাট ও ভাংচুর করে। এ সময় রবিউলের বড় মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং ছোট মেয়েকে অপহরণ করলে আমরা তাৎক্ষণিক উদ্ধার করি।
তিনি আরও বলেন, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।