কুষ্টিয়ায় ভুয়া ডিবি পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের আটক করেছে পুলিশ।
তারা ভুয়া ডিবি পুলিশ, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয় দিয়ে অভিনব কৌশলে ছিনতাই/ডাকাতি করতো।
রোববার রাতে ভেড়ামারা উপজেলার ১২ মাইল এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়।
এ সময় একটি প্রাইভেট কার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লোগোযুক্ত টি-শার্ট, স্পেশাল ফোর্স কমান্ড লোগোযুক্ত টি-শার্ট ও নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবহৃত দুই জোড়া বুট, র্যাবের ব্যবহৃত একটি কালো টুপি, ওয়াকি টকি সেট, দেশীয় তৈরি তরবারি ও ডেগার টিপ চাকু, ২ টি বিদেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন, ৪ রাউন্ড গুলি ও ১১বোতল ফেনসিডিলসহ স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৯২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলো ঢাকার সাভারের মৃত জমির খানের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৪২), নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার কালা মিয়ার বাড়ি এলাকার তোফাজ্জল হকের ছেলে খোকন মিয়া ওরফে জামাল মিয়া(৫৫), মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি এলাকার আব্দুর রবের ছেলে মোহাম্মদ হারুন ওরফে বাবু মিয়া(৪২)কে আটক করা হয়।
সোমবার সকালে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত।
তিনি জানান, বেশ কিছুদিন ধরে কুষ্টিয়া শহর ও আশপাশের উপজেলায় বিভিন্ন কৌশলে কখনও পুলিশ কখনও গোয়েন্দা পুলিশ আবার কখনও র্যাব এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতো।
বিশেষ করে গরু ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে ধোকা দিয়ে টাকা সংরক্ষণ করে রাখার কথা বলে ব্যাপারীদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে গাড়িতে রাখত এবং শহরের মধ্যে নারীদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ছিনতাই করতো তারা।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার আরও জানান, আটককৃত ছিনতাইকারীরা প্রাইভেট কারটি ব্যবহার করে বিভিন্ন বাহিনীর পোশাক, বুট, ওয়াকি টকি সেট, অস্ত্র-গুলি ব্যবহার করে গরু ব্যবসায়ী, সাধারণ ব্যবসায়ী ও ভদ্র মহিলাদের টার্গেট করে ডিবি পুলিশ, র্যাব, কখনও গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য বাহিনীর পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কুষ্টিয়া যশোর ঝিনাইদহ পাবনা রাজশাহী বগুড়া টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাই করে আসছিল।
১৪ টি অপরাধ সংঘটিত হয়ে আসছে। যার মধ্যে ৬ টি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কুষ্টিয়াতে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।