কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি এলাকার ইজিবাইকচালক সুজন শিকদার হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রাকিবুল ইসলাম আসাদকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রোববার বেলা ১২টার দিকে কুষ্টিয়া কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব ১২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মারুফ হোসেন।
তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাকিবুল ইসলামের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুরের দত্তপাড়া গ্রামে। গত রাতে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার বিরুলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১২ অধিনায়ক আরও জানান, ২০১৬ সালে হত্যাকাণ্ডের পর রাকিবুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় দেড় বছর জেল খাটে। এরপর জামিনে মুক্তি পেয়ে সে সাভারের বিরুলিয়া এলাকায় আত্মগোপনে থেকে সেখানে সে রাজমিস্ত্রির হেলপার, বালুরঘাটের পাহারাদার এবং সর্বশেষ কোমল পানীয়র একটি কোম্পানির ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করতো। এই হত্যা মামলা ছাড়াও রাকিবুলের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র এবং দুটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা রয়েছে। প্রেস ব্রিফিং র্যাব ১২ কুষ্টিয়ার কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খানসহ র্যাব কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি এলাকার ইজিবাইক চালক সুজন শিকদার (২৮) ভাড়ায় যাত্রী বহনের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরদিন ২৯ মার্চ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়ীয়া এলাকার একটি লিচু বাগান থেকে সুজনের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে ভেড়ামারা থানা পুলিশ। ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশে সুজনকে হত্যা করা হয় বলে জানা যায়।
এ ঘটনায় করা মামলায় ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ এর বিচারক গ্রেপ্তার আসামি রাকিবুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড ও দুই আসামিকে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।