কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কোল সম্প্রদায়ের শান্তিবালার সংসার চলে বাঁশ ও বেঁতের কাজ করে। রেললাইনের ধারে খুপড়ি ঘরে তিন ছেলেমেয়ে, স্বামী ও তার বৃদ্ধা মাকে নিয়ে থাকতে হয় কোনরকমে।
মাঝে মাঝে রেললাইনের জায়গা উদ্ধার করার সময় মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় কখনওবা রেলস্টেশন, গাছতলা, কখনও বা অন্যের বাড়ির বারান্দায় থাকতে হয়।
আবেগে আপ্লুত হয়ে তিনি বলে উঠলেন, আমি কখনো ভাবিনি জীবনে পাকা ঘরে শুতে পারবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে আমি এখন সন্তানদের সাথে নিয়ে আমার বৃদ্ধা মাকে নিয়ে পাকা ঘরে বসবাস করছি। যেন সুখের রাজ্যে আমাদের বসবাস।
অল্প টাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন শামীমা খাতুন। তিনিও তার মেয়েকে নিয়ে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘরে। স্বপ্নে না ভাবলেও, বাস্তবে ঘর পেয়েছেন। তাই খুশীতে আত্মহারা তিনিও।
কুষ্টিয়ার বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো: আসলাম হোসেন বলেন, যেসব মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিলোনা, তাদের পাকা ঘরের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছে বর্তমান সরকার। এর মাধ্যমে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে এই বাংলাদেশ। আর এসব কেবল সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বুদ্ধিমত্তা ও দূরদর্শিতার কারণে।
জেলা প্রশাসক জানান, কুষ্টিয়া সদর উপজেলাসহ তিন উপজেলায় ১৮৬টি ঘরের চাবি ইতোমধ্যেই হস্তান্তর করা হয়েছে। আরো ১৮০টি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে আমাদের জেলার ৬টি উপজেলায় ৪ হাজার ৯৯৫টি ঘর নির্মাণ করা হবে। এই উদ্যোগ মাইলফলক হয়ে থাকবে বলেও মনে করেন তিনি।