কুষ্টিয়ায় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া আদর্শ কলেজ মোড় মিলপাড়ায় জেলা শ্রমিকলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে কুষ্টিয়া শহর শ্রমিক লীগের উদ্যোগে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক কেন্দ্র কমিটির সদস্য জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আমজাদ আলী খান।
কুষ্টিয়া শহর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মহসিন আলীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেনের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক মোঃ হামিদুল ইসলাম, সহ সাধারণ সম্পাদক বাদশা আলমগীর, জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ রিয়াজ আলী, ক্রীড়া সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য আসাদুল হক খান, মোতালেব হোসেন, জেলা যুব শ্রমিক লীগের যুগ্ন আহবায়ক রবিউল ইসলাম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস হোসেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে ফিরে আসার মাধ্যমে বাঙালির স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে। সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রে সবকিছুই অনিশ্চিত ছিল। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন করেছেন। ওই সময়ে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে টিকে থাকতে পারবে না। বলা হয়েছে- বাংলাদেশ যদি উন্নয়ন করতে পারে তাহলে বিশ্বে আর কোনো দেশে উন্নয়ন অসম্ভব হবে না। তেমনই একটি বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে সকল আশঙ্কাকে দূরে ঠেলে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে পুনর্গঠন করেছেন বঙ্গবন্ধু। এই সময়ে বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব না দিলে অস্ত্র উদ্ধার সম্ভব হত না। ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সৈন্যরা সহসা দেশে প্রত্যাবর্তন করত না। বাংলাদেশ অবকাঠামোগত যে উন্নয়ন লাভ করেছে তার কোনোটিই অর্জিত হত না।’
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশকে সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন বঙ্গবন্ধু। আর তারই সুযোগ্য কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তারই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছেন।