নিমেষই বিষাদে পরিনত হলো সব আনন্দ। কিছুক্ষণ পূর্বেও যে মানুষটি সকলের সামনে হাসছিলো, সকলের সাথে তাল মিলিয়ে করছিল আনন্দ। মূহূর্তেই তার নিথর দেহ রাস্তায় পড়ে রইলো।
রাস্তা পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী দুরপাল্লার একটি দ্রূতগামী বাস তাকে স্পৃষ্ট করে চলে যায়। বরিশালে সড়ক দূর্ঘটনায় গাংনী উপজেলার হিজলবাড়ীয়া গ্রামের হাফিজুল ইসলাম নিহত হওয়ার ঘটনা এভাবে বর্ণনা করলেন অপর সঙ্গী বজলুর রহমান।
গতরাত সাড়ে ১১ টার সময় কুয়কটা-পদ্মসেতুর হাইওয়ে রাস্তার উজিরপুর জয়শ্রী নামক স্থানে গ্রীণল্যান্ড সেন্টমার্টিন পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন হাফিজুল।
নিহত হাফিজুল ইসলাম (৪২) গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের ইউসুব আলী ফকিরের ছেলে। ২ সন্তানের জনক হাফিজুল পেশায় দর্জি।
বজলুর রহমান জানান, গ্রামের প্রায় ৪০ জন যুবক কুয়াকাটা ভ্রমণের জন্য একটি বাসে করে গতকাল মঙ্গলবার (১৬ আগষ্ট) বেলা ২ টার সময় বের হই। রাতে ১১ টার দিকে কুয়াকাটা – পদ্মাসেতুর ওই রাস্তার পাশে একটি খাবারের হোটেলে রাতের খাবার খাই। আমরা সবাই বাসের মধ্যে অপেক্ষা করছিলাম।
হাফিজুল এসময় রাস্তার অপরদিকে একটি তেলপাম্পের টয়লেট থেকে ফিরছিলেন। এসময় দ্রূতগামী বাস তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান হাফিজুল। পরে তার মরদেহ নিয়ে আমরা আবারো ফিরে এসেছি। জানালেন বজলুর রহমান।