দর্শনা কেরুজ চিনিকলের পরিবহন বিভাগের কর্মরত ড্রাইভারের বিরুদ্ধে বহনকৃত চিটাগুড়ে পানি মেশানোর অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে পরিবহনের ট্যাংকির চিটাগুড় আনলোডে বাঁধ সেধেঁছে কর্তৃপক্ষ। যে কারনে আটকে দেওয়া হয়েছে পরিবহনের ট্যাংকের চিটাগুড় আনলোড।
জানাযায়, দর্শনা কেরুজ চিনিকলের পরিবহন বিভাগের নিজস্ব (ঢাকা মেট্রো-ঢ-১১-০৩৬১) নম্বরের একটি পরিবহন ট্রাক (ট্রাংকলরী) চিটাগুড় আনতে যায় নাটোর চিনিকলে। বহনকৃত পরিবহন ট্রাকটির (ট্রাংকলরী)কেরুর শ্রমিক চালক আব্বাস উদ্দিন চিনিকল হতে চিটাগুড় নিয়ে ফিরে আসেন কেরুজ চিনিকলে।
আজ রোববার সকালের দিকে ট্রাকের ট্রাংলরীর মধ্যে রক্ষিত চিটাগুড় কেরুজ চিনিকলের হাউজে ঢালার সময় চিটাগুড়ে পানি মেশানো হয়েছে এমন সন্দেহ হয় কেরুজ কর্মকর্তাদের। এতে কর্মকর্তা ট্রাকের চিটাগুড় আনলোডে বাঁধসেধে বন্ধ করে আটকে দেয় ট্রাকটি। ফলে ট্রাকের চিটাগুড় সহ ট্রাকটি পড়ে থাকে হাউজের পাশে ট্রাক লোড-আনলোড পয়েন্টের উপর।
একথা কেরুজ চিনিকল এলাকায় দ্রুত ছড়িযে পড়লে শ্রমিক ও সাধারন মানুষের মুখে নানামুখি গুঞ্জন ওঠে চালক আব্বাস উদ্দিনকে নিয়ে। ট্রাক চালক কি পথিমধ্যে চিটাগুড় বিক্রি করে ট্রাকের ট্রাংকিতে পানি মিশিয়েছে? আর পানি মিশ্রিত সেই চিটাগুড় প্রতিষ্টানকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ব্যার্থ হয়ে ধরা খেলেন চালক আব্বাস?
এবিষয়ে কেরুজ ডিষ্টিলারী বিভাগের মহা-ব্যবস্থাপক রাজিবুল হাসান বলেন, চিটাগুড়ে (মুলাসেস) পানিমিশ্রিত সন্দেহে আমরা ট্রাকের রক্ষিত মাল আনলোড বন্ধ করে দিয়েছি। এ বিষয়ে নাটোর সুগার মিলের প্রডাকশন ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সেই সাথে চিটাগুড় সংরক্ষণ করে তা পরিক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।।তিনি আরও বলেন পরিক্ষা শেষে জানা যাবে পানি মিশিয়েছে কিনা।