কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার জিটি কলেজের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় ঘাঘা-তালসারবাসী।
এ অভিযোগের প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে তালসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রতিবাদ সভা করেন এলাকাবাসী। তারা অবিলম্বে বর্তমান কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ছয় মাস আগে কলেজ পরিচালনার জন্য একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন ঘাঘা গ্রামের হারুন অর রশিদ। অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন আনোয়ার হোসেন, হাফিজুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন এবং সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রাশেদুল ইসলাম।
গত ২৬ মার্চ কলেজের পূর্ণাঙ্গ ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে তা অনুমোদনের জন্য বোর্ডে পাঠানো হয়। নতুন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল খালেককে। এ নিয়েই শুরু হয়েছে বিরোধ। স্থানীয়দের অভিযোগ, কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ ছিলেন আব্দুল খালেক এবং সে সময় শিক্ষক নিয়োগের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
এছাড়া, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সময় এডহক কমিটির কোনো সদস্য বা স্থানীয়দের মতামত নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানতে না পারার কথাও বলেছেন এডহক কমিটির কয়েকজন সদস্য।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন মেহেদী হাসান পাতা, আব্দুল মোতালেব, ফারুক হোসেন, আব্দুল করিম, শফিউদ্দিন লস্কর ও বাহার আলী। বক্তারা অভিযোগ করেন, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রাশেদুল ইসলাম স্থানীয় এক বিএনপি নেতার সহযোগিতায় অনিয়ম করে ‘পকেট কমিটি’ গঠন করেছেন। তারা বলেন, “যে অধ্যক্ষ কলেজের শুরু থেকেই ভালো কিছু করেননি, বরং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাকেই আবার সভাপতি করা হয়েছে। আমরা এই কমিটি মানি না।”
এ বিষয়ে জিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রাশেদুল ইসলাম বলেন, “আমি আমার কলেজের সভাপতি হারুন অর রশিদ ও সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের পরামর্শে কমিটি গঠন করে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছি। যা ইতোমধ্যে অনুমোদনও হয়েছে।” এরপর তিনি আর কোনো মন্তব্য না করে ফোন বন্ধ করে দেন।
এডহক কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, “আমি নিয়ম অনুযায়ী এডহক কমিটির সভাপতি ছিলাম এবং নিয়ম মাফিকই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেউ যদি বলেন, তারা জানেন না, তবে সেটা মিথ্যা। তাদের উদ্দেশ্য আছে তারা তাদের পছন্দের লোককে কমিটিতে বসাতে চায়। সেটি সম্ভব না হওয়ায় এখন তারা আন্দোলন করছে।”