ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে মিথ্যা মামলা ও অপবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন করেছেন আইনজীবী সহকারী নুর আমিন। আজ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে হাসপাতাল সড়কের প্রেসক্লাব কোটচাঁদপুরের সভাকক্ষে তিনি এ সংবাদ সন্মেলনটি করেন ।
এ সময় উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের সংবাদ সন্মেলনকারী নূর আমিনের সাথে ছিলেন তার চাচা মহাসিন আলী, চাচাতো ভাই মিজানুর রহমান, বড় ভাই রুহুল আমিন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ও প্রশ্নের জবাবে নুর আমিন বলেন, আমি আইনজীবী সহকারী হিসেবে ঝিনাইদহে বিজ্ঞ আদালতে কর্মরত আছি। আমি একজন জামাতে ইসলামী মতাদর্শী মানুষ। যে কারণে ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমি একাধিক গায়েবী রাজনৈতিক মামলায় জর্জরিত। দীর্ঘ ১০ টি বছর আমাকে বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে থাকতে হয়েছে। তারপরও একাধিকবার ডিবি, র্যাব, ঝিনাইদহ সদর থানা ও কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যেয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ কাজের সহযোগিতা করেছেন সাবেক বলুহর ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মতিন তার ভাই আব্দুর রাজ্জাক ও প্রতিবেশী ওমর আলী। এদিকে ৫ আগষ্ট বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিনে ফুলবাড়ী গ্রামের মতিন চেয়ারম্যানের ভাই আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি প্রতিবেশী ওমর আলীর বাড়ি কে বা কারা ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনা নিয়ে আমাকে মতিন চেয়ারম্যান ও তার লোকজনেরা দোষারোপ করে আসছিল। গত ৫ই সেপ্টেম্বর গ্রামের পার্শ্ববর্তী সমাজকল্যাণ পাড়ায় আমার মামা বাড়িতে রাত যাপন করি । ভোর পাঁচটার দিকে ফজরের নামাজের জন্য যখন আমি ফুলবাড়ী মসজিদের দিকে রওনা হই। পথের মধ্যে ইমরান, রনি,শাহাদত ও মতিন চেয়ারম্যানের লোকজন প্রতিরোধ করে। সেই সাথে বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে আমাকে বেধড়ক মারপিট করে । এতে আমি রক্তাক্ত জখম হই। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে আসা কুল্যাগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিকাইল হোসেন আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পুলিশ ডেকে তাদের হাতে তুলে দেন। পরে পুলিশের কাছে অপবাদের বিষয়টি মিথ্যা প্রমাণিত হলে তারা আমাকে থানা থেকে ছেড়ে দেন ।
এ সকল মিথ্যা অপবাদ ও হয়রানী মূলক রাজনৈতিক মামলার কারণে আমি মানসিক ও সামাজিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি বা হচ্ছি। সেই সাথে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যে কারণে আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে প্রশাসনসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাছে এ সকল মিথ্যা অপবাদ ও মামলা থেকে পরিত্রাণের জন্য সহযোগিতা কামনা করছি।
বিষয়টি নিয়ে সাবেক বলুহর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ভাঙচুরের ঘটনায় কেউ নূর আমিনের গায়ে হাত তোলেনি। আমি পরে জানতে পেরেছি অন্য একটি ঝামেলার কারণে ওই এলাকার লোকজন তাকে কয়েকটি চড় থাপ্পড় মেরে পুলিশে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে নুর আমিন সংবাদ সম্মেলনে যে অভিযোগ এনেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।