কোটচাঁদপুরে আশংকা জনক হারে বেড়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা। ২৫ দিনে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন ২৭ জন। মারা গেছেন ৪ জন। প্রতিরোধে আরো বেশি কাজ করতে হবে জানালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মাসুম বিল্লাহ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,কোটচাঁদপুরে ৩০ দিনে ২৯ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। এরমধ্যে মারা গেছেন ৪ জন। যার মধ্যে ২ জন গলায় ফাঁস দিয়ে আর ২ জন বিষপান করে।
এদের মধ্যে গেল ৮ অক্টোবর বিষপান করে মারা যায় রাজিব হোসেন, সে গুড়পাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে, রুবিনা খাতুন (২২) বৃহস্পতিবার( ২১ তারিখ) রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা যান । সে কোটচাঁদপুরের ঘাঘা গ্রামের মশিয়ার রহমানের স্ত্রী।
শনিবার (২২ তারিখ) দুপুরে গলায় ফাঁস দেন রাজু ইসলামের স্ত্রী তানিয়া খাতুন (২৫)। তারা কোটচাঁদপুর বিদ্যাধরপুর গুচ্ছ গ্রামে বাসিন্দা।
২৪ তারিখ সোমবার বিষপান করে মারা গেছেন রাসেল হোসেন( ১৪। সে উপজেলার লক্ষিকুন্ড গ্রামের জাফর মন্ডলের ছেলে।
এদিকে কোটচাঁদপুর উপজেলায় গেল ২৫ দিনে ২৭ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। যার মধ্যে ১৬ জন বিষপানে,৪ জন গলায় ফাঁস দিয়ে এবং ৭ জন ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে।
এরমধ্যে গেল ৪ তারিখে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন ১ জন,বিষপান করে ৪ জন,৫ তারিখে ট্যাবলেট খেয়ে ১ জন,বিষপানে ২ জন,৬ তারিখে ট্যাবলেট খেয়ে ১ জন,বিষপানে ২ জন,৭ তারিখে বিষপান করে ২ জন,গলায় ফাঁস দিয়ে ২ জন আর ট্যাবলেট খেয়ে ১ জন,৯ তারিখে বিষপান করে ১ জন, ১০ তারিখে ১ জন,১১ তারিখে ট্যাবলেট খেয়ে ১ জন,১৫ তারিখে বিষপানে ১ জন,১৬ তারিখে ১ জন,১৭ তারিখে ১ জন,১৮ তারিখে ১ জন,২০ তারিখে ট্যবলেট খেয়ে ২ জন,গলায় ফাঁস দেন ১ জন,২২ তারিখে বিষপান করেন১ জন আর গলায় ফাঁস দিয়ে ১ জন,২৯ তারিখে বিষপান করে ১ জন,হারপিক খেয়েছেন ১ জন।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম বলেন, এর আগে আত্মহত্যার উপর ইনোভেশন প্রকল্প ছিল। এখন না থাকলেও আমরা বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে আত্মহত্যা,বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতন কাজ করে থাকি।
খান মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমরা বিভিন্ন স্কুল,কলেজে গিয়ে বাল্যবিবাহ,আত্মহত্যা প্রবনতাসহ সম্প্রতি সভা নিয়মিত করে আসছি। এরপরও এতগুলো ঘটনা আমাদের বিস্মিত করেছে।
তিনি বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হবে। এরপর যে নির্দেশনা আসবে,সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এভাবে আশংকা জনক হারে কোটচাঁদপুরে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। সরকারি কোন পদক্ষেপই কার্যকর হচ্ছে। প্রতিরোধে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহনে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।