ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্ণীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি (মেম্বার) সদস্যরা।
এতে ওই ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। গতকাল বুধবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেনের পক্ষে একান্ত সচিব ইন্দ্রোজিত সাহা অভিযোগ পত্র গ্রহন করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ইউপি চেয়ারম্য্যান আব্দুল জলিল বিশ্বাস স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে সম্পূর্ণ এককভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। নিয়মিত মাসিক সভা করেন না। জোর পূর্বক রেজ্যুলেশনে সহি করিয়ে নেন।
সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহনের নিয়ম থাকলেও তিনি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের খেয়াল-খুশি মত প্রকল্প গ্রহন করেন। এবং কমিটির সদস্যদেও সআক্ষর গ্রহন না করে জালিয়াতির মাধ্যমে বিল উত্তোলন করেন। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে তিনি বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করেন।
এমনকি পরিষদে জেতে নিষেধ করে বলেন, বেশি বুঝলে বাড়ি গিয়ে গরু-ছাগল চরাতে। বাধ্য হয়ে সদস্যরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেন।
অভিযোগকারী সদস্যরা হলেন, সংরক্ষিত নারী সদস্য মোছাঃ হাসিনা খাতুন, মোছাঃ কল্পনা খাতুন, মোছাঃ হালিমা খাতুনসহ সাধারণ সদস্য মোঃ জিল্লুর রহমান, মোঃ জনি, মোঃ জুলহক, মোঃ রোকন উদ্দিন, মোঃ শাহাজুল ইসলাম, আশরাফুল আলমসহ অন্নান্য সদস্যবৃন্দ।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বিশ্বাস জানান, আমি এলাকায় সকলকে নিষেধ করেছি, মেম্বারদের কোন প্রকার ভাতা বাবদ টাকা পয়সা না দিতে। বিভিন্ন প্রকার ভাতা বাবদ টাকা নিতে না পারায় আমার বিরুদ্ধে তারা এই অভিযোগ তুলছে। তাদের এই অভিযোগ সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। কিছুদিন পূর্বে একই উপজেলার বলুহর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন বোর্ডের সদস্যরা।
এদিকে একের পর এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্ণীর্তির অভিযোগ উঠায় এলাকায় শুরু হয়েছে আলোচনা ও সমালোচনা। এবিষয়ে সঠিক তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান এলাকার সূধিজন।